ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিংপাড়া-নওয়াপাড়া ও হাঁসাড়া ব্রিজ-২-এর মধ্যবর্তী স্থানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ৪ জনের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১৫ জন। শুক্রবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার বিপরীত পাশে ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ৪ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৫ আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যশোর থেকে ঢাকাগামী হামদান পরিবহনের একটি নাইট কোচ চলন্ত একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের পর উভয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানের সড়কের রেলিংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার স্টেশন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় প্রেরণ করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যায়। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় চারজনে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী বাহিনী একযোগে কাজ করে দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটি সরিয়ে নেয়। কিছু সময় যান চলাচল বিঘ্নিত হলেও পরে তা স্বাভাবিক হয়।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, শ্রীনগর উপজেলাধীন হাঁসাড়া ইউনিয়নের হাসাড়াঁ হাইওয়ে থানার নিকটবর্তী চালতিপাড়া এলাকাস্থ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তায় হামদান এক্সপ্রেসের একটি বাস দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে ওভারটেক করার সময় সামনে থাকা একটি ট্রাককে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনা ঘটে। উক্ত দুর্ঘটনায় জালাল উদ্দীন (৬৫), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- নওয়াপাড়া, থানা- যশোর সদর, জেলা- যশোর, জিল্লুর রহমান (৫১), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- যশোর সদর, যশোর দ্বয় ঘটনাস্থলেই মারা যান। মাওলানা মোস্তফা (৫৫), পিতা- মৃত সুরত শেখ, সাং- ঘুরুলিয়া, থানা- যশোর সদর, যশোর ও বাসের হেল্পার আশিক, পিতা- অজ্ঞাত হাসপাতালে মারা যান।
উল্লেখ্য, বাসটি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ঢাকার মহা-সমাবেশ কর্মসূচিতে যোগদানের উদ্দেশ্যে যশোর হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে পথিমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: