চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে সোনার গহনা ও মোবাইল ছিনতাই, হাতে ধরিয়ে দিলো লবণ
সাতক্ষীরায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক নারীকে চেতনানাশক স্প্রে করে তার পরনে থাকা প্রায় এক ভরি ওজনের তিনটি সোনার গহনা ও দুটি মোবাইল সেট ছিনতাই করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহরের পিএন হাইস্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারীর নাম সিমা রায় (৪৯)। তিনি সাতক্ষীরা শহরের খান মার্কেটের গহনা শিল্পী শেখর রায়ের স্ত্রী। তিনি যশোরের অভয়নগরের বাশুড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের সঙ্গীতা মোড়ের পার্শ্ববর্তী জবেদ আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া।
সিমা রায় জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে সুলতানপুর বড়বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বড়বাজারের ভ্যারাইটি স্টোরের সামনে দিয়ে দিবা-নৈশ কলেজের দিকে যাওয়ার সময় দুই যুবককে তার পিছনে পিছনে হাঁটতে দেখেন। সুশিল ময়রার দোকানের সামনে পৌঁছালে তাকে অনুসরণকারী দুইজনের মধ্যে একজন পিছন দিক থেকে তার ঘাড়ে হাত দেয়। তিনি পিছনে ফেরা মাত্রই নাকের কাছে কিছু একটা স্প্রে করা হয়। একপর্যায়ে ওই দুইজন তার সাথে কথা বলতে বলতে তিনি চেতনা হারানোর উপক্রম হলে পিএন হাইস্কুলের পাশে সেলুনের দোকানের পাশে ডেকরেটর গলিতে নিয়ে যায়। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে তার গলায় থাকা ৫ আনা ওজনের সোনার চেইন, চার আনা ওজনের একজোড়া সোনার কানের দুল, চার আনা ওজনের হাতের দুটি শাখা খুলে নেয় তারা। তার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ও ১৩৫০ টাকা মূল্যের আরও একটি মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। ছিনতাই হওয়া মালামালের মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। একপর্যায়ে তারা তার কাছে একটি শপিং ব্যাগে থাকা এক কেজি ওজনের লবণের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে সাহা সুইটস’এ দিয়ে আসতে বলে। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন জানতে পেরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামিনুল হক জানান, এ ঘটনায় সিমা রায় দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্বাস আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই ছিনতাইকারীর পরিচয় জানার জন্য পিএন হাইস্কুলের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: