হাসপাতালে পড়ে রইলো গৃহবধূর মরদেহ, পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন!
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সারমিন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সারমিন আক্তার নরসিংদির রায়পুরার চানপুর ইউনিয়নের সদর কান্দি এলাকার বগডর গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী।
এ বিষয়ে সারমিনের মা হাসনা হেনা জানান, রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সদরকান্দির বগডর গ্রামের সুরুজ মিঞার ছেলে ফারুকের সঙ্গে সারমিনের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। বিয়ের পর থেকেই সংসারে সুখ ছিল না। স্বামী প্রবাসে থাকাকালীন শাশুড়ির নির্যাতনে মেয়ে অতিষ্ঠ হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই মেয়ে আমাদের বাড়িতে থাকতো। তাদের সাংসারিক জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বামী প্রবাস থেকে ফিরে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন। এ কারণে দুই মাস আগে সারমিন শ্বশুরবাড়ি যায়। আজ সকালে সাড়ে ১০টার দিকে মেয়ে পোকামারার বিষ খেয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় মেয়েকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
আমার মেয়েকে দজ্জাল শাশুড়ি কিছু খাইয়ে মেরে ফেলেছে আমি তার বিচার চাই বলে জানান সারমিনের মা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রোজিনা পারভীন বলেন, ‘সকাল ১০টার পর কয়েক জন লোক সারমিন নামের এক রোগীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তাদের দাবি তিনি পোকা মারার বিষ খেয়েছেন। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করি। কিন্তু তারা অ্যাম্বুলেন্স আনার কথা বলে চলে যান; আর আসেননি।’
ভৈরব থানার সহকারী পরিদর্শক চৌধুরী তাহসিন চামেল বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাই। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।’
বিভি/টিটি




মন্তব্য করুন: