রাজাপুরে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা পেলো বিত্তবানরা 

ঝালকাঠির রাজাপুরে নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় বিত্তবানদের নাম থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সুপারিশকৃত তালিকা থেকে বাদ পরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। 

প্রকল্পবাস্তায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে ২০১৯ সালে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। ঐ কমিটি উপজেলা থেকে ২০৩ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেন। অফিস ঐ তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু এখন দেখা যায় ঐ তালিকায় একজনের নাম একাধিক বার রয়েছে। বর্তমানে নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৯ লাখ টাকার একটি বরাদ্ধ এসেছে যা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ জনকে দেয়া যাবে।

ইউনিয়ন পরিষদের তালিকায় নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বাদ পড়া দেলোয়ার, জালাল, মালেক, শহীদ, জলিল, মিনারাসহ প্রায় ৪০ জন সুবিধাভোগী জানায়, তাদের সরকারি বরাদ্ধ ১০ হাজার টাকা করে প্রত্যেককে দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নেয় ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যার স্বামী মো. বাবুল গাজী। পরে টাকা বরাদ্ধ বেশি জানতে পেরে তাদের টাকা ফেরত দিয়ে যারা বেশি টাকা দিয়েছে তাদের নাম তালিকায় সুপারিশ করা হয়েছে। যাদের নাম তালিকায় সুপারিশ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন বৃত্তবানের নামও রয়েছে। এমনকি মহিলা ইউপি সদস্য তাজেদা বেগম এর স্বামী মো. বাবুল গাজীর নাপিতেরহাটে ১০টি দোকান থাকলেও তালিকায় তার নাম রয়েছে। ফারুক নামে এক ব্যক্তির দোতলা ভবন দুই ছেলে বিদেশ থাকলের তার নাম তালিকা রয়েছে।

এছাড়াও গ্রতিগ্রস্ত না হয়েও পাকা ভবনের মালিক ব্যবসায়ী দুলাল মুন্সীরও বরাদ্ধে তালিকায় নাম রয়েছে। যাচাই-বাছাই না করে তালিকা অনুমোদন দেয়ায় এমনটা হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। 

মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. জালাল আহম্মেদ জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তালিকায় বৃত্তবানদের নাম থাকলে তা বাতিল করে পুনরায় তালিকা তৈরি করা হবে।

মহিলা সদস্যদের স্বামী মো. বাবুল গাজী তার বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, যারা আমার নির্বাচন করে নাই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশিদ বলেন, তালিকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা হয়েছে আমরা কিছুই জানি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, অনিয়ম থাকলে বিষটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।