• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নীলফামারীতে ড্রাগন ফল চাষে সফলতা

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৩১, ২৮ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
নীলফামারীতে ড্রাগন ফল চাষে সফলতা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখান গ্রামে আবরার এগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন ফল চাষাবাদে মিলেছে সফলতা। রঙ , গন্ধ, স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় বিশ্বজুড়ে বিশেষ কদর এবং চাহিদা রয়েছে ড্রাগন ফলের। রসালো ও পুষ্টিকর লাল ড্রাগন ফলে ভরে উঠেছে কিশোরগঞ্জের মাঠ।

ওই এলাকার বাসিন্দা কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল নিজ বাগানে লাল ড্রাগন উৎপাদন করে সম্ভবনার দুয়ার খুলেছেন। তার বাগানে প্রতিটি গাছের ডগায় ৩-৪টি করে দুলছে ড্রাগন ফল। এ অঞ্চলের মাটি, আবহাওয়া ড্রাগন চাষে খুবই উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে ড্রাগন চাষে চমক দেখিয়েছেন তিনি। এছাড়া ছাড়া রোগ-বালাই কম ও কম পুজিতে বেশি লাভ হওয়ায় অন্যরাও ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

ফার্মের প্রোডাকশন ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে ২০২১ সালে আবরার এগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে ৭০ শতাংশ জমিতে ৫ শতাধিক পিলারে ২০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। যশোর থেকে চারাগুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দুরত্বে প্রতিটি পিলারে ৪টি করে চারা রোপণ করা হয়। ড্রাগন গাছের লতাগুলো বড় হলে খুঁটি বেয়ে টায়ারের ভেতর থেকে বাইরে ঝুলে পড়ে ।এরপর ফল আসা শুরু হয়।  রাজধানী ঢাকাসহ স্থানীয় বাজারে প্রথম কিস্তিতে ফল বিক্রি করে ১লাখ ৩০হাজার টাকা এবং চারা বিক্রিতে ৩০ হাজার টাকা আয় আসে।

এ বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করে একের পর এক ছাদ বাগানের টবসহ কৃষিজমিতে ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে উঠছে। চলতি মৌসুমে প্রতিটি গাছে নজর কাড়া ফল এসেছে। প্রতি কেজি ড্রাগনের বর্তমান বাজার মূল্যে ৩শ থেকে ৪শ টাকা। এবারে ভালো ফলন পেয়ে ১০লাখ  টাকা আয় আশাবাদী তারা।

কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল বলেন, ‘বাগান তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা। বছরে প্রতিটি গাছ ফলন দেয় ২৫-৩০ কেজি। যা বাগান থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টাকা  ফল বিক্রি করতে পারবো বলে আশাবাদী।’

কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কৃষি উদ্যোক্তা কাজল বাণিজ্যিকভিত্তিতে ড্রাগন ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ২ হেক্টর জমিতে ৩০জনের মতো কৃষক ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন। শখের বসে হলেও বাগানগুলো বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে। এতে স্থানীয়দের  পুষ্টির চাহিদা পুরণ হবে। অর্থনৈতিকভাবে কৃষকরাও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। উচ্চ মূল্যের এ ফলের বাগান করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষককে উদ্বুদ্ব করা হচ্ছে। নিরাপদ ফল উৎপাদনে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2