অনশনে বসে স্ত্রীর অধিকার পেলো ইডেন কলেজের ছাত্রী

স্ত্রীর দাবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রের বাড়িতে অনশনে বসেছেন ঢাকা ইডেন কলেজের এক ছাত্রী। টানা তিনদিন ধরে সেখানেই অবস্থান করেছেন ওই তরুণী। পরে দুই পরিবারের মীমাংসায় স্ত্রীর স্বীকৃতি পান ওই তরুণী।

ঘটনাটি ঘটেছে  সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কুমিরা গ্রামে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিকাল থেকে রবিবার (২৩ এপ্রিল) পর্যন্ত কুমিরা গ্রামে মাস্টার সমেশদের বাড়িতে অনশন করেন ওই তরুণী। তিনদিন পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পান ওই তরুণী।

তবে ওই তরুণী অনশনে বসার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী সুব্রত।

জানা যায়, ওই তরুণীর বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তিনি ঢাকা ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর অভিযুক্ত যুবক কুমিরা এলাকার মাস্টার সমেশ দের ছেলে সুব্রত দে। তিনি বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।  

তরুণীর দাবি, ঢাকায় পড়াশোনার সূত্র ধরে তাদের পরিচয় এরপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। মাস ছয়েক আগে প্রথমে নোটারি পাবলিক, পরে হিন্দু ধর্মমতে স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু সংসার শুরুর আগে তালবাহানা করেন সুব্রত।

অভিযোগ করে ওই তরুণী আরও জানান, একবার তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে সুব্রত। ওই সময় তিনি গুরুতর আহত হলে পরিবারের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। স্বামী সুব্রত পালিয়ে গেলে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে তাদের বাড়িতে ওঠেন বলে জানান ওই তরুণী। 

তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা শুরু হলে ঈদের পরদিন রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।  

অভিযুক্ত সুব্রতর বাবা সমরেশ দে জানান, ওই মেয়ে অনশনে বসেনি। সে ছেলের খোঁজে এসেছিল। বিষয়টি সামাজিকভাবে মিটে গেছে। খুব শিগগিরই বৌমাকে ঘরে আনা হবে।