• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ডান্ডাবেড়ি তো ঘৃণ্য অপরাধে পরানো হয়, যুবদল নেতার প্রসঙ্গে হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৫:৪০, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ডান্ডাবেড়ি তো ঘৃণ্য অপরাধে পরানো হয়, যুবদল নেতার প্রসঙ্গে হাইকোর্ট

অসুস্থ কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মো. আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেরি লাগানো অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন বিএনপির আইনজীবীরা। এ ঘটনা হাইকোর্ট বলেন, ডান্ডাবেড়ি তো ঘৃণ্য অপরাধে পরানো হয়।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি নজরে আনেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

এ সময় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপির আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ আলী হাইকোর্টকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ১০০টা কেস থাকুক তাতে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে এটা কেমন কথা। ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে আনা হবে, স্বাধীন দেশে এগুলো কেন করা হবে? আপনি একটি স্বপ্রণোদিত আদেশ দেন।

এসময় হাইকোর্ট বলেন, ৫৪ ধারা স্যাটেল হয়ে গেছে। তারপরও হচ্ছে! এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন আমাদের এটার সমাধান বের করতে হবে। আমরা কি থার্ড ক্লাস সিটিজেন?

পরে হাইকোর্ট বলেন, ডান্ডাবেড়িতো ঘৃণ্য অপরাধে পরানো হয়। আপনারা রিট আকারে আসেন। আমরা সুয়োমুটো আদেশ দেব না।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকাতে দুই পা সোজাও করতে পারছে না। এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেডার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তির এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।

ছবির ওই ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান মধু। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি। এছাড়া তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক।

অসুস্থ আমিনুরের পরিপূর্ণ চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর কারা পুলিশের এমন অমানবিক কাণ্ডে মর্মাহত তার পরিবার ও স্বজনরা। অন্যদিকে এটিকে সমীচীন নয় বলে অভিমত জানান আইনজীবীরা।

 

বিভি/এসএইচ/রিসি

মন্তব্য করুন: