• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত 

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত 

ছবি: ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জীবনবীমা খাতের  কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদকে বরখাস্ত করে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ দিয়ে জারি করা চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এর ফলে কোম্পানিটির কার্যক্রমে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়োগকৃত প্রশাসকের হস্তক্ষেপের আর কোন সুযোগ থাকছে না।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সোনালী লাইফের পরিচালকদের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদ বরখাস্ত করে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

এছাড়া সোনালী লাইফের পর্ষদ বরখাস্ত করতে বীমা আইন ২০১০ এর ৯৫ (১) ধারার প্রয়োগ কেন ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে গণ্য করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, কর্তৃপক্ষের পরিচালক (আইন) ও  সোনালী লাইফে নিযুক্ত প্রশাসককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সুমাইয়া ইফরিত বিনতে আহমেদ।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল বীমা আইন ২০১০ এর ৯৫ (১) ধারার ক্ষমতাবলে সোনালী লাইফ পর্ষদকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌস, এনডিসি, পিএসসিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে আইডিআরএ।

নৈতিক স্খলন ও আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে সোনালী লাইফের বরখাস্তকৃত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোম্পানিটিতে সম্প্রতি হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানিকে নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে আইডিআরএ। তাদের প্রতিবেদনে কোম্পানিটিতে পরিচালকদের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই নিরীক্ষা প্রতিবেদন তাদেরকে হস্তান্তর না করে এবং সংশ্লিষ্ট অভিযোগসমূহের ব্যাপারে যুক্তিখণ্ডানোর জন্য যথাযথ সময় এবং সুযোগ না দিয়েই তড়িঘড়ি করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং চিঠি ইস্যু করা হয়।

একই সঙ্গে দুর্নীতি বা অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধভাবে আত্মসাতের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। তিনি দাবি করেছেন, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত তার মালিকানাধীন ভবনটির ভাড়া এবং কোম্পানিকে দেয়া ঋণ বাবদ পাওনা থেকেই বিভিন্নখাতে তিনি টাকা গ্রহণ করেছেন।

মন্তব্য করুন: