শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ট্রাইব্যুনালের
ছবি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশন টিমের এক আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শেখ হাসিনার প্রচার হওয়া আগের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকেও নির্দেশ দিয়েছেন।
সবশেষ শেখ হাসিনা ভারতের মাটি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়। প্রসিকিউশন বলছে, শেখ হাসিনা যে সমস্ত হেইট স্পিচ দিচ্ছেন, তা বন্ধেই এ আবেদন।
শুনানিতে ভারতে বসে টেলিফোনে বলা ও দলীয় নেতাকর্মীদের নানা অসাধু বুদ্ধি দেয়া শেখ হাসিনার একাধিক বক্তব্য উপস্থাপিত করা হয়।
এর আগে, এই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চে।
গেলো ১৮ নভেম্বর, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। সরকার পতনের পর, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাদসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম-হত্যা-গণহত্যা’সহ দেড় শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এরইমধ্যে, ২৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
উল্লেখ্য, কদিন পর পরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হচ্ছে। সেখানে তাকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। সেখানে ছুড়ে দিচ্ছেন নানা হুমকিও। এরই প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিলো।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: