• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

জবানবন্দিতে নতুন সেইফ হাউজের সন্ধান দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ 

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
জবানবন্দিতে নতুন সেইফ হাউজের সন্ধান দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ 

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। জবানবন্দিতে নতুন সেইফ হাউজের সন্ধান দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ জবানবন্দি দেন তিনি। এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামি রয়েছেন। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ছাত্র-জনতা। ওই দিন রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামে ওয়াসিমকে হত্যা করে ছাত্রলীগ। একই দিন ছয়জন শিক্ষার্থী শহীদ হন। এর প্রতিক্রিয়া জানাতে ১৭ জুলাই আমরা গায়েবানা জানাজা করতে গেলে চাপ দেয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেদিন রাতেই আমাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে পদ্মায় নেওয়া হয়। কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য আমাদের নানাভাবে বোঝানো হয়। কিন্তু আমরা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রত্যাখ্যান করি। এক ঘণ্টা পর আমাদের সামনে দিয়েই তিনজন মন্ত্রী বের হয়ে যান। অর্থাৎ আমরা কোনো বৈঠক করিনি।

তিনি আরও বলেন, ওই দিন রাতেই বৈঠক করাতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের মৎস্য ভবনের সামনে সেইফ হাউজে নেওয়া হয়। মৎস্য ভবন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মধ্যে একটা ঘর আছে বাইরে থেকে পরিত্যক্ত মনে হয়। কিন্তু ভেতরে আধুনিক ব্যবস্থাপনা ছবি রয়েছে। যেটাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা এজেন্সির ভাষায় সেইফ হাউজ নামে ডাকা হয়। সেখানে আমাদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চাপ প্রয়োগ করা হয়। পরিবারকে জিম্মি করা হয়। স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগ দিয়ে পরিবারকে হেনস্তা করা হয় এবং বৈঠকে বসার জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ করা হয়। সেদিন সকালে এজেন্সির একজন আমাদের হুমকি দেন যে, আমরা যেন বৈঠক করে সারা দেশের সামনে বলি আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তাহলে আমাদের লাইফ সেটেল করে দেবে। তবে আমরা রাজি হইনি।

এদিন বেলা সোয়া ১১টা থেকে হাসনাত আবদুল্লাহর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। দুপুর দেড়টার পর বিরতি দেওয়া হয়। এরপর প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি। দুপুর আড়াইটায় অবশিষ্ট সাক্ষ্য দেবেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।

 

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2