• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

চেম্বার আদালতের দ্বারস্থ হলেন মাহমুদুর রহমান মান্না

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
চেম্বার আদালতের দ্বারস্থ হলেন মাহমুদুর রহমান মান্না

ছবি: মাহমুদুর রহমান মান্না

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে এবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে তিনি এ আবেদন করেছেন।

এর আগে এ সংক্রান্ত তার রিট আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালতে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কাইয়ুম।

গত বুধবার বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মান্নার করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। ওই আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্নার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না। আদালতে মান্নার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন আদালত গ্রহণ না করায় মান্না বর্তমানে নির্বাচনী আইনি বাধার মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে, হাইকোর্টের আদেশ ঘোষণার পরই মান্নার আইনজীবীরা আপিল করার কথা জানান।

মামলার তথ্যে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান ‘আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’-এর কাছ থেকে পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা একটি ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে। নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির কাছে বকেয়া ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না হওয়ায় ব্যাংক আইনি পদক্ষেপের প্রক্রিয়া শুরু করে।

উল্লেখ্য, আফাকু কোল্ড স্টোরেজে মাহমুদুর রহমান মান্নার ৫০ শতাংশ এবং তার দুই অংশীদার এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ও ইসমত আরা লাইজুর যৌথভাবে বাকি ৫০ শতাংশ অংশীদারত্ব রয়েছে। ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হলেও নিয়মিত কিস্তি ও মুনাফা পরিশোধ না করায় বকেয়ার অঙ্ক বেড়ে বর্তমানে ৩৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের শাখা প্রধান তৌহিদ রেজা জানান, প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হলেও চুক্তি অনুযায়ী পাওনা পরিশোধে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
 

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2