• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১১ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

অবশেষে খোলাসা হলো সানজিদার বদলি রহস্য

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
অবশেষে খোলাসা হলো সানজিদার বদলি রহস্য

ফাইল ছবি

ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনা এখন 'টক অফ দ্য টাউন'। এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত এডিসি হারুনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে হারুনকে বদলির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সানজিদা আফরিনকেও বদলি করার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়। অবশেষে বিষয়টি পরিষ্কার করলেন ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মো. ফারুক হোসেন।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি জানান, সানজিদা আফরিনকে কোথাও বদলি করা হয়নি। তাকে কোথাও বদলি বা প্রত্যাহারের আদেশ হয়নি।

তিনি আরও জানান, থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে পূর্ণাঙ্গ এবং সুষ্ঠু তদন্তের জন্যই আরও পাঁচ কার্যদিবস সময় বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে, সানজিদার সঙ্গে এডিসি হারুনের বিয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বিয়ের বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সানজিদা।

তিনি বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। অনেকে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। একটি ছবি ছড়িয়ে দিয়ে হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনি প্রচার করছে। ছবির ওই নারী আমি নই।'

সানজিদা বলেন, 'হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধু আমার কলিগ। ডাক্তারের সিরিয়াল নিতে স্যারের সহযোগিতা নিয়েছিলাম। এ ছাড়া আর কিছুই না।'

সানজিদা ৩৩তম বিসিএসের কর্মকর্তা। তিনি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী। ঘটনার সূত্রপাত সানজিদের সঙ্গে এডিসি হারুনের দেখা নিয়ে। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুন বারডেম হাসপাতালে সানজিদার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন বলে তার স্বামী মামুনুল জানতে পারেন। পরে তিনি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে হারুনের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ঢুকিয়ে মারধর করেন এডিসি হারুন।

এ ঘটনার পর এডিসি হারুনকে প্রথমে প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। পরে একই দিনে তাকে কক্সবাজারের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পর ১২ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এদিকে দু’দিন পর মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সেই দিনের ঘটনার বর্ণনা দেন সানজিদা। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে আমি বুকে মারাত্মক ব্যথায় ভুগছিলাম। সেদিন (৯ সেপ্টেম্বর) পেইনটা একটু বেশি হওয়ায় ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত নিই। যেহেতু ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল হারুন স্যারের আওতার মধ্যে পড়ে তাই ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়ার জন্য আমি স্যারের হেল্প চেয়েছিলাম।

তিনি আরও জানান, হারুন স্যার আসার পর ডাক্তার ম্যানেজ হয়। এরপর ডাক্তার কিছু টেস্ট দিলেন। ঘটনার সময় আমি ইটিটি করানোর রুমে ছিলাম। সেখান থেকেই বাইরে হট্টগোলের শব্দ শুনি। পরে হারুন স্যারকেই চিৎকার করে বলতে শুনি ‘ভাই আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না’। কিছুক্ষণ পর দেখতে পাই ওখানে আমার স্বামী আজিজুল হক মামুন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছেলে ছিল। তারা হারুন স্যারকে মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন। এ সময় আমি আমার স্বামী এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিৎকার শুরু করছিলাম। তখন আমার হাজবেন্ড (স্বামী) আমার গায়ে হাত তোলেন এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: