নির্মাণাধীন ঘরের বিছানায় পড়েছিল প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে লিপি আক্তার (২৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর বালিয়াকান্দি গ্রামের ইরাক প্রবাসী মোঃ সবুজ সরদারের ২য় স্ত্রী।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে নিজ শয়নকক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বাড়ি থেকে ৩টি মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার এবং নগদ অর্থ লুট হয়েছে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইরাক প্রবাসী সবুজ সরদারের ২য় স্ত্রী লিপি আক্তার একাই নির্মাণাধীন একতলা ভবনের ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। বোববার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পাওনা টাকা চাইতে প্রতিবেশী আখের আলী ওই বাড়িতে যান। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া না পেয়ে এবং ঘরের দরজা খোলা থাকায় ভেতরে তাকিয়ে তিনি লিপির মৃতদেহ খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় তিনি অন্যান্য প্রতিবেশীদের ডাকেন। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা গোয়ালন্দ ঘাট থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লিপি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
প্রবাসী সবুজ সরদারের প্রথম স্ত্রী শিরিন আক্তার জানান,আমার স্বামী দুই বিয়ে করেছিল। আমি শশুর-শাশুড়ির সাথে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় স্বামীর পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস করি। আমার সতীন আলাদা বাড়িতে থাকতেন। আমরা দুই সতীন দুই বাড়িতে থাকলেও আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার সতীন একজনের কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। তাকে সেই টাকা পরিষোধের জন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রেখেছিলেন। এছাড়া ঘরে দামি ৩টি মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার ছিল যার কিছুই ঘরে নেই।
প্রবাসী সবুজ সরদারের মা আকিরুন নেছা জানান, তার প্রবাসী ছেলে ২টি বিয়ে করেছিলেন। বড় বও আমাদের সাথে থাকে। ছোট বৌকে এখানে নতুন বাড়ি করে দিয়েছে। হঠাৎ এই ঘটনার খবর শুনে এসে দেখি ঘরে তার মরদেহ।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাকিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: