মহিলা লীগ নেত্রীসহ আ.লীগ নেতা বোমা ফারুক গ্রেফতার
ফরিদপুরে বোমা ফারুক খ্যাত জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফারুক হোসেনকে (৬৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর সাথে জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য নাসরিন আক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ঝিলটুলীতে অবস্থিত একটি বহুতল ভবনের নিজস্ব ফ্লাট থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ওরফে বোমা ফারুক ও যুব মহিলা লীগের সদস্য নাসরিন আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, ফারুক হোসেন নিষিদ্ধ কার্যক্রম ঘোষিত আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিলেন। তিনি এই ষড়যন্ত্রের একজন অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা। জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক হোসেন স্বীকার করেছেন যে, লকডাউন কর্মসূচি সফল করার জন্য তাঁকে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন।
ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে বর্তমানে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাঁকে আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ফারুক হোসেনের বাম হাতের মধ্যমা আঙুল বোমা বিস্ফোরণে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তিনি 'বোমা ফারুক' নামে পরিচিত। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। গত অক্টোবর মাসে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি নিজেকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দাবি করে আসছিলেন।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: