পুলিশের ৫০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক
পুলিশের সাবেক ও বর্তমান অন্তত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ১৫ বছরে পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে থানার কনস্টেবল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক ফাইল খুলেছে সংস্থাটি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নজিরবিহীন দুর্নীতির পর সাবেক আইজিপি নুর মোহাম্মদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদসহ একাধিক কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) জাহাঙ্গীর আলম ও বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এআইজি) মাহাবুব হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছে দুদক।
এদিকে কর্মকর্তাদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন। এদিন দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতি একটি জটিল সমস্যা। হুট করে এর সমাধান সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের জন্য পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি।’
তিনি ইঙ্গিত দেন, কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমেই কেবল পুলিশের অভ্যন্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব।
দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, পুলিশ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধানের মধ্যেই এদিন অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে দুদক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং ২ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিভি/টিটি




মন্তব্য করুন: