চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ, অতঃপর র্যাবের জালে ধরা
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবককে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় র্যাবের সহায়তায় দুইজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগীকে।
র্যাব জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পরিচালিত বিশেষ অভিযানে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন, মো. সাগর আহম্মেদ রয়েল (৩২) ও মো. ওমর সানি রাব্বি (৩৫)।
র্যাব-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে একটি আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী চক্রের অবস্থান শনাক্ত করে।পরবর্তীকালে পরিচালিত অভিযানে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার সঙ্গে জড়িত পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে ভুক্তভোগীর বড় ভাই মো. মিরাজ সিকদার তার ছোট ভাই মো. রিয়াজ সিকদার নিখোঁজের কথা উল্লেখ করে ১২ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় থানায় লিখিত অভিযোগ ও এজাহার দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু হলেও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি র্যাব-১ এর সহায়তা কামনা করেন।
অভিযোগপত্রে সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, এএমজেড হাসপাতালের পেছন থেকে অপহরণ হয় তাকে অপহরণ করে পূর্বাচল ২৬ নাম্বার লেনে নিয়ে যায়একটি টিনশেড কক্ষে অবৈধভাবে আটক হন। চাকরির ভাইভা দেওয়ার কথা বলে তাকে সেখানে ডেকে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
মুক্তিপণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে জোরপূর্বক তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে বিকাশের মাধ্যমে এক হাজার ১৯০০ টাকা আদায় করা হয়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মিরাজ সিকদার বলেন, “থানায় অভিযোগ করার পর র্যাব-১ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের অভিযানে অল্প সময়ের মধ্যেই আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের আশা পাচ্ছি।”
এ ঘটনায় র্যাব ও পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে স্থানীয়রা জানান, অপহরণ ও চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন তৎপরতা জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিভি/টিটি




মন্তব্য করুন: