• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

পরকীয়া প্রেম থেকে বিয়ের চাপ, দায় এড়াতে কিশোরীকে খুন

প্রকাশিত: ১৯:১০, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৯:১৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
পরকীয়া প্রেম থেকে বিয়ের চাপ, দায় এড়াতে কিশোরীকে খুন

দুই বছর আগে মুঠোফোনে লন্ডল প্রবাসী ইউসুফ নামে এক যুবকের সংগে বিয়ে হয় কিশোরী খুশি বেগম-এর (১৫)। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্বামী লন্ডনে থাকার সুযোগে গ্রামের অন্য এক যুবক মহিউদ্দীন-এর (২২) সংগে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে খুশি’র। তবে খুশি চেয়েছিলো মহিউদ্দীনকে বিয়ে করতে। কিন্তু মহিউদ্দীন পরকীয়া প্রেম করলেও বিয়ে করতে রাজি ছিলো না। তাই খুশি’র বিয়ের চাপ থেকে নিজেকে দায় মুক্তি দিতে কিশোরীকে খূন করে মহিউদ্দীন।

ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের ছাতকে। চারদিন নিখোঁজের পর গত ২১ নভেম্বর ধানক্ষেতে অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় থানা পুলিশ। তবে ঘটনাটি ছিলো ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। তাই এটির রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তে ঘটনার মূল হোতা মহিউদ্দীনকে সন্দেহজনকভাবে আটকের পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সব স্বীকার করে নেয় সে। পরে তাদের খুশি হত্যায় গ্রেফতার দেখায় সিআইডি। সেই সংগে হত্যাকাণ্ডের জন্য পরকীয়া প্রেমের রহস্য উদঘাটনও করে সংস্থাটি।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, কিশোরী খুশি’র  অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে ও বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেশ গুরুত্বের সংগে প্রচারিত হলে সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে।  এরপর হত্যার ঘটনাটি কেন ও কিভাবে সংঘঠিত হয়েছে, ঘটনায় কে বা কারা জড়িতসহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নিহতের পরিবার, ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করে সিআইডি।

মুক্তা ধর বলেন, সিলেট শহর এলাকার ইউসুফ নামের এক লন্ডন প্রবাসীর সংগে প্রায় দুই বছর আগে পরিবারের সম্মতিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুশি বেগম-এর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর স্বামীর অবর্তমানে একই এলাকার যুবক মহিউদ্দিন-এর সংগে খুশি বেগম-এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মহিউদ্দিন স্থানীয় খারগাঁও হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে ২০১৮ সালে হেফজ্ পাশ করে দুই বছর ধরে বেকার রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন,  খুশি’র সংগে মহিউদ্দীন-এর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে তার পরিবারও জানতো না। ফলে তার মৃতদেহ উদ্ধার করার পর তাকে কেন হত্যা করা হয়েছে সেই বিষয়ে পরিবার থেকে তেমন কোনো ধারণা দিতে পারেনি। তবে আমরা তদন্তে দেখলাম চারজন ব্যক্তিকে সন্দেহনজক মনে হচ্ছে। তার মধ্যে মহিউদ্দীন খুশি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে বেশি সন্দেহ হয়। পরে তাকে গ্রেফতারের পর সে খুশিকে হত্যার কথা স্বীকার এবং এর কারণ জানায়। মহিউদ্দিনকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানাধীন কেডিএস এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মহিউদ্দিন জানায়, তার সংগে নিহত খুশি বেগম-এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বেশ কিছুদিন ধরে খুশি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলো। মহিউদ্দিন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি পরিবার ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে প্রকাশ করার হুমকি দেয় খুশি। তখন মহিউদ্দিন ১৭ নভেম্বর রাতে খুশিকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে নিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

তবে এই হত্যাকাণ্ডের সংগে আর কেউ জড়িত কি না এবং এই কাজে পরোক্ষভাবেও কেউ সহযোগিতা করেছে কি না এসব বিষয় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

বিভি/এসএইচ/এএন

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2