• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সরকারি বিনামূল্যের বই কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ! 

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৭:৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
সরকারি বিনামূল্যের বই কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ! 

ছবি: সংগৃহিত

গোপালগঞ্জে নতুন শিক্ষা বছরের সরকারি বিনামূল্যের বই ফেরিওয়ালাদের কাছে কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে বইগুলো জব্দ করেন।

বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাধ্যমিক স্তরের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ক্যারিয়ার শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, চারুপাঠ, কৃষি শিক্ষা, আনন্দপাঠ, গার্হস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাস সোমবার দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন। এরপর তিনি গোপনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সরকারি বিনামূল্যের বই ৩০ টাকা কেজি দরে দুই ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেন। স্থানীয় লোকজন সরকারি বইগুলো ফেরিওয়ালাদের কাছে দেখতে পেয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বইগুলো কিনেছেন বলে জানান। 

ফেরিওয়ালা কাওছার শেখ জানান, তিনি বইগুলো শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাসের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি বই কিনেছেন। 

স্থানীয় ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমি একটি ভ্যানে করে ফেরিওয়ালাদের ২০২২ শিক্ষাবর্ষ  ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বই নিয়ে যেতে দেখি। এরপর আমরা এলাকাবাসী বইসহ তাদেরকে আটক করে ৯৯৯ -এ কল করে বিষয়টি জানাই। পরে ইউএনও’র নির্দেশে গ্রাম পুলিশের কাছে বইগুলো হস্তান্তর করি।’

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের কাছ বই বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বই বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোন বই বিক্রি করিনি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। 

কাশিয়ানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজা বেগম বলেন, ‘আমরা বিক্রি করা বইগুলো জব্দ করেছি। প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছি। ৩ দিনের মধ্যে ওই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শাণোর জবাব দিতে  বলা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’ 

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বই বিক্রির ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ 


 

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: