বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় পোস্টার ব্যবসায় ধস (ভিডিও)
একদিকে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করতে নানান রঙের কার্ড, ব্যানার, পোস্টার, ক্যালেন্ডার-ডাইরিসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রস্তুত করা, অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের পোস্টার ছাপানোর কাজে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল রাজধানীর মতিঝিল এলাকার প্রিন্টিং প্রেসগুলোর। দেশের প্রায় ৭০ ভাগ প্রিন্টিংয়ের কাজ হয় এই এলাকায়। কিন্তু সে তুলনায় নেই, সেই চিরচেনা ব্যস্ততা। ভরা এই মৌসুমে অলসভাবে সময় কাটছে কর্মীদের।
মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা জানান, সবকিছুর দাম বেড়েছে। পোস্টার ছাপাতে আগে যে কালির দাম ছিল ১৬০০-১৮০০ টাকা, সেই কালি এখন ৪ হাজার টাকা প্রতি সেট। প্লেটের দামও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধিকাংশ বড় ব্যবসায়ী রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকায় কমেছে প্রিন্টিং প্রেসের কাজ। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনাদের নির্বাচনে না আসা ও ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট। তবে প্রেস মালিকদের আশা, নির্বাচনে কমিশনের অনুমতি পেলে ১৭-ই ডিসেম্বরের পর হয়তো কাজের অর্ডার পাবে তারা।
তবে এবার বিএনপি ও সমমনাদের নির্বাচনে না আসায় প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ কমে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। তাদের মতে- যারা নির্বাচনে আসছেন তাদের অনেকেরই বিএনপি ও জোট সঙ্গীদের মতো পোস্টার ছাপানোর আর্থিক সামর্থ ও সক্ষমতা নেই। তাই ব্যবসায়ীদের দাবি- সব দলের অংশ গ্রহণে হোক এই নির্বাচন।
চলতি বছর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটসহ ৩০টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ৩০০ আসনে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩ হাজার ৬৫ জন। তখন যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৪৮ জন। সেসময় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ৩৯টি রাজনৈতিক দল। তবে এবার প্রতিটি আসনে গড়ে ৯ জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
শহীদ সেননিয়াবাদ আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসায় প্রায় ৩০ শতাংশ পোস্টার কম ছাপানো হবে। এতে ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হলো। তবে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক মিলিয়ে দরে সংখ্যা বেশি হওয়ায় আশায় বুক বেধেছেন প্রিন্টিং প্রেসের মালিকরা।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: