• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১২ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দেশে প্রবাসী আয়ের রেকর্ডে এগিয়ে সৌদি আরব 

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ১২ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
দেশে প্রবাসী আয়ের রেকর্ডে এগিয়ে সৌদি আরব 

প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির একটি প্রধান হাতিয়ার হিসেবে জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবার প্রাবাসী আয়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। আর এই রেকর্ডে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন সৌদি আরবের প্রবাসীরা। 

চলতি অর্থ বছরের ৭ মে পর্যন্ত এসেছে ২৫ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড। এর আগে দেশে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, জুলাই ২০২৩ থেকে ৭ মে ২০২৪ পর্যন্ত এসেছিল ১৯ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। আর ৭ মে ২০২৫ এ প্রবাসী আয় এসেছে ১১০ মিলিয়ন ডলার। এ মাসের প্রথম সাত দিনে এসেছে ৭৩৫ মিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। সে সময়ে এসেছিল ৬০১ মিলিয়ন ডলার।

মাসের হিসাবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল মার্চে। সেবার দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল রেকর্ড ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ঈদের পর এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। মাসের হিসাবে যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। এরপর শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে—সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য (ইউকে), মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর ও কাতার।

বিদায়ী এপ্রিলে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৯ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। তবে গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ—এই তিন মাসে প্রবাসী আয় পাঠানোয় শীর্ষে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এপ্রিলে দেশটি থেকে ৩৩ কোটি ৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়ে নেমে গেছে তিনে। এ ছাড়া আলোচিত সময়ে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর ও কাতার থেকে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার, ২১ কোটি ৯ লাখ ডলার, ১৬ কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার, ১৫ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার, ১৪ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও ১০ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এ ছাড়া বাহরাইন থেকে এসেছে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, ফ্রান্স থেকে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার, সাউথ আফ্রিকা থেকে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার, সাউথ কোরিয়া থেকে ২ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার, কানাডা থেকে ২ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, জার্মানি থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার ডলার, অস্ট্রেলিয়া থেকে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, গ্রিস থেকে ১ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার, জর্ডান থেকে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, মালদ্বীপ থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। 

স্পেন থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ ডলার, মরিশাস থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ব্রুনাই দারুসসালাম থেকে ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার, জাপান থেকে ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, পর্তুগাল থেকে ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার, ইরাক থেকে ৭৩ লাখ ডলার, লেবানন ৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পোল্যান্ড ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার, সুইডেন থেকে ৫৫ লাখ ডলার এবং ফিনল্যান্ড থেকে ৩৮ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। অন্যান্য দেশ মিলে প্রবাসী আয় এসেছে ৪ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: