চাঁদাবাজদের যন্ত্রণায় ঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না, অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
চাঁদাবাজদের যন্ত্রণায় ব্যবসায়ীরা ঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা। তাদের অভিযোগ, দ্রুত পরিবর্তনশীল নীতিমালার অভাবে বাড়ছে না বিনিয়োগ।
তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় হাত গুটিয়ে বসে আছেন বিনিয়োগকারীরা। জাতীয় নির্বাচনের আগে বড় কোনো বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো আশা দেখছেন না তিনি।
জুলাই বিপ্লবের পর সবচেয়ে বেশি নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশের অর্থনীতিতে। পলাতক স্বৈরাচারের লুটপাটে বিপর্যস্ত ব্যাংকিং খাতের বিধ্বস্ত চেহারা ফুটে ওঠার পাশাপাশি দেখা দেয় তীব্র ডলার সংকট। বিগত এক বছরে সেই শোচনীয় অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা-সিপিডির সংলাপে ঘুরে ফিরে এমন আলোচনা হলেও উদ্যোক্তারা বলছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ৩৬৫ দিনে 'ম্যাজিক্যাল' কোনো কিছু করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরও স্বীকার করলেন, আর্থিক খাত স্থিতিশীল হলেও রাজনীতিতে সুবাতাস না থাকায় থমকে আছে বিনিয়োগ।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, স্বৈরাচার সরকারের বাজেট চালিয়ে যাওয়া অন্তবর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত। তার দল ক্ষমতায় গেলে উদার নীতির বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করবে।
সংলাপের প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, ১৬টি ব্যাংক থেকে এক বেক্সিমকো গ্রুপ-ই লুটপাট করেছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। দুর্বৃত্তায়ান ও আমলাতান্ত্রিক প্যাচের কারণে সরকার সফল হতে পারছে না, এমন স্বীকারোক্তি তার।
স্বৈরাচারের দোসর খুঁজতে গিয়ে প্রশাসন এখন নড়বড়ে অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শ্রম উপদেষ্টা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: