‘প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ব্যাংক থাকায় বিশৃঙ্খলা’

দেশের অর্থনীতির আকার বিবেচনায় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ব্যাংক থাকায় এই খাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, হাসিনা সরকারের সময় দলীয় বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমতি ও ঋণ বিতরণ, একই সাথে দরকারের অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ ব্যাংকখাত আর বহন করতে পারছে না। এ কারণে চাকরি চলে যাওয়া কিংবা সময়মতো পদোন্নতি না হওয়ার ইস্যুতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের আন্দোলন অনেকটাই নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায়, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর প্রথম কার্যদিবসেই ইসলামী ব্যাংকে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর থেকে ব্যাংকগুলোতে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ‘বৈষম্যের শিকার’ বিভিন্ন সংগঠন ও দলের ব্যানারে এই আন্দোলনগুলো এখনো চলমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে বলছে, ব্যাংকখাতে মোট কর্মী রয়েছেন ২ লাখের ওপর। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মীর সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো। বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে সে সংখ্যা প্রায় তিনগুণ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রধান চার ব্যাংকে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। এরমধ্যে ৭ হাজার ২১৫ জনই পদোন্নতি পেয়েছেন পদ ছাড়াই।
এদিকে, আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়ায় ব্যাংকগুলোয় বিশৃঙ্খলা আরও প্রকট হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এরই মধ্যে গভর্নর জানিয়েছেন, শিগগির ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক একীভূত হচ্ছে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: