অর্থনীতির নতুন দিগন্ত পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী জুলাইয়ে
আগামী বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণবঙ্গে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে অর্থনীতির নতুন দিগন্ত পায়রা বন্দরের। পুরোদমে অপারেশনের পর ১৫ বছরের মধ্যেই আয়ের মুখ দেখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। বন্দরটি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনীতিতে নতুন জোয়ার তৈরি করবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত হাতছানি দিচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। নির্মাণ কাজ চলছে ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেশের সর্ববৃহৎ সমুদ্র বন্দরটির। শেষ হয়েছে প্রথম টার্মিনালের ৬৫০ মিটারের জেটি, কনটেইনার ও বাল্ক পণ্য খালাসে বিশাল ব্যাকআপ ইয়ার্ড। একটি জেটিতেই এক সাথে ভীড়তে পারবে ২০০ মিটারের তিনটি জাহাজ।
পায়রা বন্দরে যা থাকছে:
* মহাসড়কের সঙ্গে ৫.২২ কিলোমিটার ৪ লেন সড়ক
* ১ লাখ বর্গফুটের ওয়্যার হাউজ
* প্রশাসনিক ভবন
* অভ্যন্তরীণ নৌরুট ড্রেজিং
* জলযান নির্মাণ
* ভূমি অধিগ্রহণ
* বন্দরের ডিটেইলড মাস্টার প্ল্যান
এ ছাড়া ৫ হাজার ৪২৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিয়মান এই সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও আনুষাঙ্গিক সুবিধা প্রকল্পে থাকছে-
* ইউটিলিটি সার্ভিসসহ জেটি নির্মাণ,
* ব্যাপআপ ইয়ার্ড নির্মাণ
* ৪০ হাজার বর্গফুটের সার্ভিস জেটি ভেহিকেল পার্কিং শেড প্রস্তুত
এ ছাড়াও প্রকল্পের বেশকিছু কাজ চলমান, যা আগামী জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ দৃশ্যমান পায়রায়। বড় কাজের মধ্যে বাকি রয়েছে ৬.৩৫ কিলোমিটারের ৬ লেনের সংযোগ সড়ক এবং আন্ধারমানিক নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ। তবে এই বন্দর দিয়ে এখনই গাড়ি ও বাল্ক পণ্য আমদানি সম্ভব, বলছেন প্রকৌশলীরা।
এ বন্দরে দুশ্চিন্তার খড়গ ১০ মিটারের গভীরতা। প্রতিনিয়ত ড্রেজিং করায় বছরে ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা। তবে আগামীতে নিজস্ব ড্রেজিং ব্যবস্থার উদ্যোগ নিচ্ছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ সম্প্রসারিত হওয়ায় এ বন্দরকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ফেনি-চট্টগ্রাম রুটের যেকোনো দুর্যোগে বিকল্প বন্দর হিসেবে সেবা দেবে পায়রা বন্দর।
এ পর্যন্ত ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচে গড়ে তোলা বন্দরটি চালু হলে প্রথম বছরেই বন্দরের নীট আয়ের প্রত্যাশা ৬৫০ কোটি টাকা। আর রাজস্ব মিলবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: