• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সরকারি ক্রয় বিধিমালায় আসছে বড় পরিবর্তন

প্রকাশিত: ০০:১২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
সরকারি ক্রয় বিধিমালায় আসছে বড় পরিবর্তন

সরকারি ক্রয় বিধিমালায় গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি বিষয়ে পরিবর্তন আসছে। এর মধ্যে দরপত্রে বহুল আলোচিত ১০ শতাংশের কম অথবা বেশি মূল্যসীমার বিধানটি বাদ দেওয়া হচ্ছে। কেননা এতে আগেই সরকার নির্ধারিত দর জেনে দরপত্র দাখিল এবং একক বড় ঠিকাদারের একাধিক কাজ পাওয়ার সুযোগ আছে। এখন নতুন সংশোধনী প্রস্তাবে এই মূল্যসীমা বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিধান যুক্ত করা হবে। সংশোধনী খসড়া বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। অনুমোদন হলে দু-এক দিনের মধ্যেই পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। সেখানে সব ঠিক থাকলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। 

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) খসড়া ‘পবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা’ ২০২৫ নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। 

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আইএমইডি সম্মেলন কক্ষে সেমিনার আয়োজন করে বিপিপিএ। এতে সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস। 

সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইএমইডি সচিব মো. কামাল উদ্দিন। বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সচিব এসএম মঈন উদ্দীন আহম্মেদ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। এতে বিপিপিএর পরিচালক শাহ ইয়ামিন-উল ইসলাম প্রস্তাবিত পিপিআর, ২০২৫-এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

নতুন বিধিমালায় অন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো হলো- সরকারি ক্রয়ে ইজিপি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতার বিধান সংযোজন, ইকনোমিক অপারেটরদের প্রকৃত মালিকানাবিষয়ক তথ্য প্রকাশ এবং টেকসই সরকারি ক্রয় ধারণা অন্তর্ভুক্তিকরণ। এছাড়া ক্রয় কৌশল প্রণয়নের ধারণা অন্তর্ভুক্ত, ভৌত সেবাকে পৃথক ক্রয় ক্যাটাগরি হিসাবে নির্ধারণ, ফ্রেমওয়ার্ক ক্রয়ের পরিসর বৃদ্ধিকরণ এবং ডিবারমেন্টের ক্ষেত্রে আপিলের ব্যবস্থা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আরও আছে, সীমিত দরপত্র পদ্ধতিসহ অন্যান্য ক্রয় পদ্ধতির আওতা বৃদ্ধিকরণ এবং সরকারি ক্রয়ে সামাজিক ক্রয় উপাদান সংযোজনের উপায় হিসাবে অতি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান, নারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ সুবিধা সংরক্ষণ করা। ইলেকট্রনিক রিভার্স অকশন বা বিপরীত নিলাম ক্রয় পদ্ধতি প্রচলন এবং ভেরিয়েশনসহ সমরূপ অন্যান্য চুক্তি সংশোধন প্রক্রিয়াকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির আওতা হতে বের করে চুক্তি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তকরণ। বিভিন্ন ধরনের ক্রয় কমিটির কার্যপরিধি স্পষ্টীকরণ, ক্রয় কাজে নেগোশিয়েশনের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং সম্পত্তির নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার সূত্র উল্লে­খ করার বিষয়গুলো যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

আইএমইডি সচিব বলেন, সাংবাদিকদের চলমান সরকারি ক্রয় সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করার উদ্দেশে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমানে বিধিমালার খসড়াটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আজ (বুধবার) এটি অনুমোদন পেলে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ভেটিং হয়ে এলে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল করা গেলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসবে। এছাড়া আমলারা যদি পালে হাওয়া দেয়, আবার যেদিকে বৃষ্টি পড়ে সেদিকে ছাতা ধরেন তাহলে রাজনৈতিক নেতারা সুযোগ পান। 

তিনি জানান, প্রস্তাবিত পিপিআর, ২০২৫ খসড়া তৈরি করা হয়েছে ২০০৬ সালের সরকারি ক্রয় আইন সংশোধনের ধারাবাহিকতায়। ওই সংশোধনটি সরকারি ক্রয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর মাধ্যমে আনা হয়, যা ৪ মে ২০২৫ তারিখে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

সেমিনারে দেশের জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার ৫০ জনেরও অধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: