মনে হচ্ছে ইভ্যালি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধে সরকার কোনো দায় নেবে না। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পদ থাকলে সেখান থেকেই গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চার মন্ত্রীর এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ই-কমার্স খাতের নিয়ন্ত্রণের জন্য পৃথক ডিজিটাল কমার্স আইন করা হবে। এজন্য আলাদা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থাকবে। এরই মধ্যে যারা ই-কমার্সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের অভিযোগ জানতে ও তদন্ত করতে ব্যবস্থাপনা সেল গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
যেসব প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের নামে মানুষের সংগে প্রতারণা করেছে তাদের বিচারের জন্য সিকিউরিটি ও মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট সংশোধন করা হবে। আগামীকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকেই এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইভ্যালি'র সম্পদ খতিয়ে দেখে, গ্রাহক বা মার্চেন্টদের মধ্যে কীভাবে ফেরত দেয়া যায়, তা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছে, মনে হচ্ছে তারা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারবে না। কারণ হয় তারা (ইভ্যালি) টাকা সরিয়ে নিয়েছে, না হলে বিজ্ঞাপনের টাকা খরচ করেছে। খেলাখুলাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্পন্সর করেছে। এখন তাদের কাছে মনে হয় টাকা নেই। তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই।
সেক্ষেত্রে সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, সরকার তো টাকা নেয়নি। সরকার তো সেই লাভের অংশ নেয়নি। তবে দায় এড়াতে চাচ্ছি না বলেই তো সভাগুলো আমরা করছি। দায় নিয়েই আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে কী করা যায়।
তিনি জানান, ইভ্যালির সংগেও সরকারের আলোচনা হবে। তাদের যদি কোন পরিকল্পনা থাকে যে, কীভাবে তারা গ্রাহক ও মার্চেন্টদের দেনা শোধ করবে, সেটা যুক্তিসঙ্গত হলে তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, তাদের (ইভ্যালি) সংগে কথা বলব। তাদের কোথায় কী সম্পদ আছে, সরকার কী করতে পারে, সেটা দেখতে হবে আমাদের, সেই চেষ্টা আমরা করবো।
এর আগে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতকারীদের গ্রেফতার করে জেলে আটকে রাখলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। এজন্য আমি গ্রাহকদের লোভ সংবরণ করার অনুরোধ করবো।
বিভি/এইচএস/এমএস
মন্তব্য করুন: