• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জিডিপিতে সিঙ্গাপুরকে ছাড়াবে বাংলাদেশ: আইএমএফ 

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ১৬ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৪:০৬, ১৬ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
জিডিপিতে সিঙ্গাপুরকে ছাড়াবে বাংলাদেশ: আইএমএফ 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ডাটাবেইসে যে চিত্র তুলে ধরা হয় তাতে আগামী চারবছর নাগাদ জিডিপি'র (মোট দেশজ উৎপাদন) আকারে ডেনমার্ক, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর ও হংকংকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। ওই সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি'র আকার দাঁড়াবে ৫১৬.২৪ বিলিয়ন ডলার।  

আইএমএফ-এর তথ্য বলছে, ২০২৫-এ বাংলাদেশের জিডিপি বা অর্থনীতি দাঁড়াবে ৫১৬.২৪ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে একই সময়ে ডেনমার্কের জিডিপি হবে ৪৮৪.৩৮ বিলিয়ন ডলার, সিঙ্গাপুরের ৪৬১.৫১ বিলিয়ন ডলার, হংকংয়ের ৪৫২.১০ বিলিয়ন ডলার এবং নরওয়ের হবে ৪৯৭.৫৫ বিলিয়ন ডলার।

২০২১-এ বাংলাদেশের জিডিপি'র আকার ৩৫৫.৬৯ বিলিয়ন ডলার, ডেনমার্কের ৩৯৬.৬৭ বিলিয়ন ডলার, সিঙ্গাপুরের ৩৭৮.৬৫ বিলিয়ন ডলার, হংকংয়ের ৩৬৯.৭২ বিলিয়ন ডলার এবং নরওয়ের ৪৪৫.৫১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এ সবগুলো দেশই জিডিপি'র আকারে বর্তমানে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। এছাড়া ২০২৫-এ এশিয়ার ফিলিপাইন (৫০৬.৬৬ বিলিয়ন ডলার) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (৪৮০.০৩ বিলিয়ন ডলার) অর্থনীতির চেয়ে বড় হবে বাংলাদেশের ৫০০ প্লাস অর্থনীতি। তবে দেশগুলো মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।

এদিকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনা'র মহামারি চলমান সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। ২০২৬ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের, মাথাপিছু আয় উন্নীত হবে তিন হাজার ডলারে। বলা হয়, দেশের রফতানি চাহিদা পুনরুদ্ধার, শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং সরকারি বিনিয়োগ দিয়ে এই প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধির বাস্তবায়ন সম্ভব।

জিডিপি'র আকারে ২০১৯ থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ বাংলাদেশ। ২০২৫ পর্যন্ত একই অবস্থান বজায় থাকবে। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশ ভারতের জিডিপি ২০২৫-এ হবে ৪০৮৪.৬৯ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু হিসাবে এরই মধ্যে ভারতকে অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ, যা ২০২৫ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ২০২৫-এ বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২৯৯৪.৪৬ ডলার। ভারতের হবে ২৮২৯.৬৫ ডলার। ২০২৫-এ শ্রীলঙ্কার জিডিপি'র আকার দাঁড়াবে ১০১.৪৪ বিলিয়ন ডলার। নেপালের হবে ৪৫.৮৩ বিলিয়ন ডলার এবং মালদ্বীপের হবে ৭.৩ বিলিয়ন ডলার। সর্বনিম্ন অবস্থায় থাকা ভুটানের জিডিপি হবে ৩.৬২ বিলিয়ন ডলার। 

গত বছর ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ নাগাদ দেশটি হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি। ২০২০-এর সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, করোনা'র কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনেক ওলট-পালট ঘটে গেছে। ইউরোপ-আমেরিকার বেশির ভাগ বড় অর্থনীতির দেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপরীতে চীন খুব কৌশলে দ্রুত এবং কঠোরভাবে করোনাভাইরাস মোকাবিলার কারণে সামনের বছরগুলোতে পৌঁছে যাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। চীনের মতোই একইভাবে বাংলাদেশও যেহেতু করোনাভাইরাসের মধ্যেও কিছুটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে, তাই সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশ ধারাবাহিক এবং জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।

 

বিভি/এইচএস/রিসি 

মন্তব্য করুন: