বাংলাদেশ ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার)-এর আর্থিক কেলেঙ্কারি অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ২৪ জানুয়ারি তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা পৃথক নোটিশে তাদের তলব করা হয়েছে।
তারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস কবির, এ.বি.এম মোবারক হোসেন, উপপরিচালক মো. হামিদুল আলম ও সহকারী পরিচালক মো. কাদের আলী।
পি কে হালদার-এর বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতায় এখন পর্যন্ত ৮৩ ব্যক্তির প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদ আদালতের মাধ্যমে ফ্রিজ করেছে দুদক। পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে এখন পর্যন্ত ৫২ আসামি ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানী এই টিম ইতিমধ্যে ১৫টি মামলা করেছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ভুয়া ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা এবং ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস’র ৩৩ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুদক।
২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি দুদকের অনুরোধে পি কে হালদার-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। তার কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১১ জন। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল কুমার নন্দী, পি কে হালদার-এর সহযোগী শংখ বেপারী, রাশেদুল হক, অবান্তিকা বড়াল ও নাহিদা রুনাইসহ আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগেই ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর রেড অ্যালার্ট জারি সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছানোর দুই ঘণ্টার কিছু আগেই তিনি দেশত্যাগ করেন।
বিভি/এইচএস/এসডি
মন্তব্য করুন: