• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ছয় ব্রোকারেজ হাউজে গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ১৮ কোটি টাকা ঘাটতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ২৫ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
ছয় ব্রোকারেজ হাউজে গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ১৮ কোটি টাকা ঘাটতি

পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সদস্য ছয়টি ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ১৮ কোটি টাকা ঘাটতি পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এই জাতীয় একটি চিঠি দিয়ে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে।

সিকিউরিটিজ হাউজগুলো হচ্ছে- এম সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, বালি সিকিউরিটিজ, ডিএমআর সিকিউরিটিজ,  হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজ এবং শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

ডিএসই’র সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের গ্রাহকদের সমন্বতি সব চেয়ে বেশি টাকা ঘাটতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত হিসেবে ঘাটতি আছে ১০ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিএসই ও সিএসইর সদস্য আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের। এই প্রতিষ্ঠানটির হিসেবে ঘাটতি রয়েছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বালি সিকিউরিটিজ। এই প্রতিষ্ঠানের হিসেবে ঘাটতি রয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। 

এছাড়াও ডিএমআর সিকিউরিটিজ সার্ভিসের ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজের ১০ লাখ ৩০ হাজার এবং শার্প সিকিউরিটিজের হিসেবে ঘাটতি রয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ১২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিদর্শন করার নির্দেশ দেয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালা, ২০২০ এর নিয়ম ৬ (৫) অনুযায়ী এই পরিদর্শন করা হয়।

গত ২২ মার্চ এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে লিমিটি সুবিধা স্থগিত করা, যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে আইপিও কোটা সুবিধা বাতিল, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানার বিপরীতে পাওয়া লভ্যাংশ স্থগিত এবং ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন এবং নতুন শাখা ও বুথ খোলা বন্ধ রাখা।

এর আগের দিন অর্থাৎ ২১ মার্চ বিনিয়োগকারীদের আমানত অর্থাৎ শেয়ার ও অর্থ সরিয়ে নেওয়া তামহা সিকিউরিটিজ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এবং বানকো সিকিউরিটিজসহ ২৫টি ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন সনদ নবায়ন বন্ধসহ নানা সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে।

বিএসইসি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন কিছু ট্রেক হোল্ডার কোম্পানির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে গ্রাহকদের বিনিয়োগকরা অর্থ এবং সংশ্লিষ্ট ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীতে গ্রাহকদের সিকিউরিটিজের ঘাটতি উদঘাটিত হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি এবং পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান (ট্রেক হোল্ডার) বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি করেছে তাদের ‘ফ্রি লিমিট সুবিধা’ এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন শেয়ারের ডিভিডেন্ড স্থগিত থাকবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন সনদ নবায়ন স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান নতুন করে কোনো শাখা বা বুথ খুলতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি কর্তৃক গ্রাহকদের বিনিয়োগকরা অর্থ ও সিকিউরিটিজের ঘাটতি সমন্বয় করার পর ন্যূনতম এক বছর ডিএসই এবং সিএসইকে এসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিমাসে দুবার সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে থাকা শেয়ার পরীক্ষা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: