• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

হলমার্ক সোনালী ব্যাংকের জন্য ছিলো বড় ধরনের ধাক্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ২৭ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
হলমার্ক সোনালী ব্যাংকের জন্য ছিলো বড় ধরনের ধাক্কা

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেছেন, হলমার্কের ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে পারেনি, তবে এটি একটি বড় ধরনের ধাক্কা ছিল। একইসঙ্গে ছিল শিক্ষাও। যা পরবর্তীতে সোনালী ব্যাংককে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। যার কারণে হলমার্কের পর সোনালী ব্যাংকে আর কোনো বড় ধরণের ঘটনা ঘটেনি। বুধবার সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

আতাউর রহমান প্রধান বলেন, হলমার্কের ঘটনাটির পর নানা রকম আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি, এটি এখনও শেষ হয়নি। তবে হলমার্কের যেসব সম্পদ আছে তা আদালতের রায়ের মাধ্যমে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন চিন্তা করছি এটি কিভাবে নিষ্পত্তি করা যায়। দু’টি বিষয় নিয়ে কাজ করছি- সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া অথবা কোনো ইকোনোমিক জোন করে কোনোভাবে কাজে লাগানো যায় কিনা, সেটা নিয়েও কাজ করছি। এ বছর না হয় আগামী বছর হলমার্কের বিষয়ে একটা নিষ্পত্তি হবে। আশা করছি এখান থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা পাওয়া সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, হলমার্কের কারণে যে মূলধন ঘাটতি হয়েছে এটা প্রাসঙ্গিক। একেবারে হলমার্কের জন্যই যে সোনালীর মূলধন ঘাটতি হয়েছে এটি বলা যাবে না।

ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক কেনো পিছিয়ে পড়ছে এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, যদি দেখেন পাঁচ বছর আগে কোথায় ছিলাম, এখন কোথায় আছি। তাহলে বুঝতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক রাষ্ট্রের অন্যতম একটি বড় ব্যাংক। কোনো কাজ করতে গেলে ফরমালি করতে হয়। তিন বছর আগে এটিএম মেশিন ছিল ১০টি। এখন তা বেড়ে শতাধিক। তবে ২০২৩ সালের মধ্যে সব উপজেলায় একটি করে মেশিন বসাবো। 

তিনি বলেন, ক্যাশলেস সোসাইটি থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ ডেবিট কার্ড দেওয়া হয়েছে এবং ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করা শুরু হয়েছে। ক্যাশলেস ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তিন বছর আগের তুলনায় শতগুণ বেড়েছে এধরণের কার্যক্রম। এটি আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে সোনালী ব্যাংকের পাওনা টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকসহ অনেক ব্যাংকেরই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন রয়েছে। এখন তারা একটা ক্রাইসিস সময় অতিক্রম করছে। এটা নিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সোনালীর টাকা রয়েছে, সেটি আদায় প্রক্রিয়ায় আছে। তবে ঋণের সুদ তারা পরিশোধ করে যাচ্ছে। তারা যেহেতু একটু অসুবিধায় আছে তাই তাদের একটু সহযোগিতা করছি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের মার্চে পরিচালন মুনাফা ছিল ৪৩৩ কোটি টাকা, তা চলতি বছরের মার্চে ৫৬৮ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩৫ কোটি টাকা। মুনাফা বৃদ্ধির সঙ্গে ঋণের অংকও বেড়েছে সোনালী ব্যাংকের। চলতি বছরের মার্চ শেষে ঋণের অংক দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৫৪৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যা গত বছরের মার্চে ছিল ৬০ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ঋণের অংক বেড়েছে ১১ হাজার ২৭৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

গত তিন মাসে সোনালী ব্যাংকের এডি রেশিও বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৫১ দশমিক ১১ শতাংশ। এছাড়া আমানতের অংকও বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে সোনালী ব্যাংকের আমানতের অংক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা, যা গত বছরের মার্চ শেষে ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে ৪ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2