• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

তেলের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি

নিউস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ৯ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
তেলের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি

বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। নিজস্ব জোগান বাদ দিয়ে ১৮ লাখ টন তেল আমদানি করতে হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ১৮ লাখ টনের বেশি তেল আমদানি করা হয়েছে। ফলে দেশে তেলের কোনো সঙ্কট নেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকির ফলে মিল থেকেও তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফার লোভে ডিলার ও খুচরা পর্যায়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করেছে। একই সঙ্গে সরকারকেও বেকায়দায় ফেলেছে। ফলে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংগঠন ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)। 

সোমবার (৯ মে) সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ঈদুল ফিতরের পর সয়াবিন তেলের মূল্য লিটারে ৩৮ টাকা বৃদ্ধির পরেও বাজারে তেলের সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে বিভিন্ন ডিলার ও ব্যবসায়ীদের গোপনে মজুত করা তেল উদ্ধার হচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয়, ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে।

বর্তমানে তেলের সঙ্কট সৃষ্টির মতো বিভিন্ন সময়ে নানা পণ্য নিয়ে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি ও সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সামান্য জরিমানার মতো লঘুদন্ড দেওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করছে না। বরং ভোক্তাকে জিম্মি করার এই প্রবণতা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এখন খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাও ভোজ্যতেল লুকিয়ে রেখে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির করছে। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি এখন সামাজিক ব্যাধিতে রুপ নিয়েছে এবং এক ধরনের সামাজীকিকরণ হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সরকারের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ অসাধ্য হয়ে যাবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে ভোক্তারা পুরোপুরি জিম্মি হয়ে পড়বে। এজন্য এখনই প্রচলিত আইনে মামলা ও গ্রেফতারপূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা জরুরি।

বিবৃতিতে পলাশ মাহমুদ বলেন, ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি আমদানিকারক থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি বেশ প্রশংসনীয়। কিন্তু অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ে মাত্র একজন করে কর্মকর্তা এবং আইনে শাস্তির ক্ষমতা অত্যান্ত সীমিত হওয়ায় রাতদিন কাজ করে ১৬ কোটি ভোক্তাকে পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া একেবারেই অসম্ভব। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব ভোক্তা অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে আইন সংশোধনেরও দাবি জানান পলাশ মাহমুদ।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: