• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি চালু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ১০ মে ২০২২

আপডেট: ১৫:২০, ১০ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি চালু

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে সব ধরণের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

এর আগে আজ মঙ্গলবার (১০ মে) ভোররাতে বিএসএফের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরণের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। 

ভারতীয় বিএসএফ দাবি করছে, তাদের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। অস্ত্র উদ্ধারে বাংলাদেশ সীমান্তের বিজিবির সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। তবে বিজিবির দাবি, ভারতীয় ট্রাকড্রাইভার ও বাংলাদেশী ট্রাক ড্রাইভারের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ ছিলো। 

ভোমরা স্থলবন্দরের সহকারি কমিশনার আমির আল মামুন জানান, সকাল থেকেই সব ধরণের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর বেলা ১টা থেকে শুরু হয়েছে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। বিএসএফ ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের গেট বন্ধ করে দেওয়ায় কোনো পণ্যবাহী ট্রাক সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। তারা জানিয়েছে, তাদের অস্ত্র হারিয়ে গেছে। সেটি উদ্ধারের জন্য বেলা ১টা পর্যন্ত তারা সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রাখে। 

তিনি বলেন, ভারতীয় পাড়ে এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। প্রতিদিন ভোমরা বন্দরে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। যদি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক না হতো তাহলে আজ আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব হারাতো সরকার। 

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আল মাহমুদ জানান, বিএসএফ দাবি করেছে তাদের এক নারী ফোর্সের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। এই ধরণের একটা তথ্য আমাদের দিয়েছে। বর্তমানে বিএসএফ ওদের বর্ডারে সার্চ অপারেশন চালাচ্ছে। আমাদের এখানেও অপারেশন চালানোর অনুরোধ করেছে। কিছু লোক বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছে এমন তথ্য তাদের কাছে থাকতে পারে। তবে আমাদের কাছে সে তথ্য দেয়নি। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের সীমান্ত এলাকায় আমরা অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। তবে অস্ত্রটা যে বাংলাদেশের লোক নিয়েছে এটার কোনো তথ্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। 

তিনি আরও জানান, ভারতীয় এক ট্রাকড্রাইভার ও বাংলাদেশী এক ট্রাক ড্রাইভারের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে (গাড়ি পাকিং করাকে কেন্দ্র করে) উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়েছে। 

বিভি/এজে/এএন

মন্তব্য করুন: