• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বাণিজ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে : এফবিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:১৬, ১১ মে ২০২২

আপডেট: ২২:১৬, ১১ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
বাণিজ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে : এফবিসিসিআই

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেছেন, ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করা নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই মনে করে ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। 

বুধবার (১১ মে) ‘ভোজ্যতেলের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার’ জন্য সংশ্লিস্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এফবিসিসিআই আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

বাণিজ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে সভায় আলোচনা শুরু হয়। সভার শুরুতে মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের বক্তব্য জানতে চান।

মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে তিনি ভুল করেছেন। ডিলার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভোজ্যতেলে কারসাজি করেছেন। ব্যবসায়ীরা তেল মজুত করেছেন। এতে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের এই নেতা আরও বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম ও টেলিভিশনের খবরে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দোকান ও গোডাউনে ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এর জন্য এফবিসিসিআইকে কথা শুনতে হচ্ছে।’

সভায় পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, ‘দোকানে যদি মাল মজুত না থাকে তাহলে ব্যবসা করবো কীভাবে? রমজানের আগে বাজারে ঘাটতি দূর করতে ব্যবসায়ীরা দোকানে মাল মজুত করেছেন। অথচ এজন্য ব্যবসায়ীদের নাজেহাল করা হচ্ছে।’ দোকানে অভিযান চালিয়ে কিছু তেল পাওয়া গেলেই ব্যবসায়ীদের অপদস্ত করা হচ্ছে দাবি করেন তিনি।

সভায় কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়ায় তাদের আপত্তি নেই।

এ সময় গোলাম মাওলা বলেন, ‘ভোজ্যতেল এখন একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে করণীয় কেউ বলছেন না। লাগাতার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর অভিযোগ চাপানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ‘জোরজবরদস্তি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এভাবে চাপ দিলে ঘাটতি আরও বাড়বে।’

ভোজ্যতেলের বাজার স্বাভাবিক রাখতে মিল মালিকদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জানান তিনি। গোলাম মাওলা বলেন, ‘মিল মালিকরা সাপ্লাই স্বাভাবিক রাখলে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের আর অপদস্থ হতে হবে না।’ 

সভায় কিছু ব্যবসায়ী উদ্দেশ্যমূলকভাবে পণ্য মজুত করেছেন বলে স্বীকার করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি জহিরুল হক ভূইয়া। তিনি বলেন, ‘সংগঠনের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও দেখতে পেলাম কিছু কিছু ব্যবসায়ী পণ্য স্টক করেছেন। আমরা মনে করি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

নিউমার্কেট দক্ষিণ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, ‘সবাই মাল স্টক করেননি। কেউ কেউ করেছেন। এর জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজকে অপদস্থ হতে হচ্ছে। এ ধরনের মজুত যারা করেন তারা রাষ্ট্রের শত্রু, সমাজের শত্রু  এবং সরকারের জন্য ক্ষতিকর। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সমিতি কোনও আপত্তি তুলবে না।’

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: