লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আটার দাম
								
													রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই বাড়ছে আটার দাম। আর হঠাৎ কেজি প্রতি কোথাও কোথাও ১০-১৫ টাকা বাড়ায় অনেকেই আটা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। সাত দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আটায় বেড়েছে ৫ টাকা। চালসহ নিত্যপণ্য নিয়ে ভোগান্তির মধ্যেই আটার দাম বাড়ায় শঙ্কিত ভোক্তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলায় সমস্যা হচ্ছে। যেকারণে বাজারে আটার সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি।
জানা গেছে, এক কেজি খোলা আটার দাম ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। খোলা আটার কেজি মোটা চালের চেয়ে ১০ থেকে ৫ টাকা বেশি। খোলা ময়দা প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্যাকেটজাত আটার দামও বাড়ছে। দুই কেজির দাম বেড়ে হয়েছে ১২৬-১৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১১০-১১৫ টাকা।
বুধবার পাড়া-মহল্লার দোকানে প্যাকেটজাত আটার সরবরাহ কিছুটা কম দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে খুচরা ব্যবসায়ীরা ডিলারদের কাছ থেকে যেসব আটা ও ময়দা সংগ্রহ করেছেন, সেগুলোই বিক্রি করছেন দোকানিরা। তাঁরা বলছেন, বেশিরভাগ কোম্পানি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। কিছু জায়গায় খোলা আটা পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু দাম বেশি। প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের বাজার প্রতিবেদন অনুযায়ী, খোলা আটার দাম এক মাসে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং এক বছরে ৬৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। মোড়কজাত আটার দাম এক মাসে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ এবং এক বছরে ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন:
ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন কোম্পানির আটার বস্তা (৫০ কেজি) গত সপ্তাহে দাম ছিল ২৮৫০ টাকা থেকে ২৯০০ টাকা। এ সপ্তাহে ৩১৫০ টাকা থেকে ৩২৫০ টাকার মধ্যে কিনেছি। প্রতি কেজি ৬৩ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় কিনতে হয়েছে। এরপর পরিবহন খরচ আছে। তারপরও এ দামে আটার বস্তা পাওয়া যাচ্ছে না।
নাখালপাড়া এলাকার চাঁদপুর ট্রেডার্সের একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, খোলা আটা ৬৫ টাকা বিক্রি করছে। পাইকারি পর্যায়ে খোলা আটার বস্তা বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ১০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিপ্রতি কেনা পড়ে ৬২ টাকার বেশি দরে। তাই খুচরায় ৬৫ টাকার কমে বিক্রি করা যায় না। প্যাকেটজাত আটা নেই তিন দিন।
তেজকুনীপাড়ার মাঈন উদ্দিন বলেন, এত দিন আটা, ময়দা ও তেলের সরবরাহ মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত তিন দিন ধরে কোম্পানির লোকজন আসছে না।
ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকে এলসি খুলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফলে আমদানি কমে গেছে। অন্যদিকে এখনও শিল্পে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ কম। তাই উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে সরবরাহে।
এবিষয়ে মেঘনা গ্রুপের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক তাসলিম শাহরিয়ার বলেন, গম আমদানি না হলে বাজারে আটা সরবরাহ হবে কীভাবে? আগে খাদ্যপণ্য নিয়ে দৈনিক ১৫-২০টি জাহাজ বন্দরে ভিড়ত। এখন তার অর্ধেকও আসে না। এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট তো আছেই।
দেশের আরেকটি বড় শিল্প গোষ্ঠীর প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা জানান, ডলার সংকটে কারণে গম আমদানি আগের তুলনায় কমেছে। যেকারণে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। তাই বাজারে আটার সরবরাহ কম ও শিগগিরই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:
বিভি/এইচএস
						


							
							
 
										
							
							
							
							
							
							
							
							
							
							
											
											
											
											
মন্তব্য করুন: