• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন আইএমএফের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:২৬, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৩:৪৪, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন আইএমএফের

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ অনুসারে ঋণ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বোর্ড সভা। বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ। বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ ঋণ অনুমোদন করা হয়।

ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থ মন্ত্রণালয় রাতেই একটি বিবৃতি দিয়েছে। তবে আইএমএফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বিশেষকরে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ এবং মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা এই ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন তাদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা। অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে আইএমএফ হয়তবা আমাদেরকে এই ঋণ দিবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ দূর্বল তাই আইএমএফ এ ঋণ প্রদান থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ শক্ত ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে আছ এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের যে ঋণ চেয়েছে, তার মধ্যে তিন ধরনের ঋণ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)।

চুক্তি অনুযায়ী এ ঋণ পাওয়া যাবে ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে। প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে অথবা মার্চ মাসের শুরুতে পাওয়া যেতে পারে। ঋণের গড় সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ।

ঋণ অনুমোদনের পর বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ বলেছে,  বর্ধিত ঋণসুবিধা ও বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩৩০ কোটি  ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় আরও ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। এই ঋণ দেশটির সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অক্ষুন্ন রাখা, দুর্বলকে সুরক্ষিত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশ সম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে বলে মনে করে আইএমএফ । বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো, বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি । 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। 


 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: