• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

বাণিজ্যমেলায় বেচা-কেনা ও রপ্তানি আদেশ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ২০:১৭, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
বাণিজ্যমেলায় বেচা-কেনা ও রপ্তানি আদেশ বেড়েছে

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় কেনা-বেচা আগের চেয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা বেশি হয়েছে। পাশাপাশি বাণিজ্য মেলায় রপ্তানি আদেশও আগের চেয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেশি। এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী বলেন, এবারের অংশগ্রহণকারী বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ। মেলায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী এসেছেন। 

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত বাণিজ্যমেলা-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আড়াল করে রাখার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুকে জানতে দেওয়া হয়নি, ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। মেলায় একটি বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মেলার দর্শনার্থী এবং নতুন প্রজন্মকে (বঙ্গবন্ধুকে) জানার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০২২ সালে আয়োজিত ২৬তম বাণিজ্য মেলায় রপ্তানি আদেশ এসেছিলো প্রায় ২০০ কোটি টাকা। একই সময়ে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকার পণ্য সামগ্রী। যা ২০২৩ সালে ২৭তম বাণিজ্য মেলায় রপ্তানি আদেশ এসেছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। একই সময়ে বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি। 

মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, রপ্তানি ক্ষেত্রে বাণিজ্যমেলা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিগত বছরে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে রপ্তানি হয়েছিল ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এরপর মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন থেকে সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়। এবার ১০টি সেরা প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে ১৩টি প্যাভিলিয়ন এবং স্টল। এছাড়াও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে ১১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল।

এছাড়া, শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদান করা হয়। সেরা ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৩টি প্রতিষ্ঠান, সেরা ফার্নিচার উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক হিসেবে ৪টি প্রতিষ্ঠান এবং ইনোভেটিভ পণ্য উৎপাদনকারী বা বিক্রেতা হিসেবে ২টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ট্রফি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: