• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

কোরবানির আগেই গরম মসলার বাজার গরম, সব রেকর্ড ভাঙলো আদা

প্রকাশিত: ১৮:১২, ২১ মে ২০২৩

আপডেট: ১৯:১৪, ২১ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
কোরবানির আগেই গরম মসলার বাজার গরম, সব রেকর্ড ভাঙলো আদা

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশে গরম মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিতে বেড়েছে এক থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত। লবঙ্গের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে প্রতি কেজিতে। দারুচিনি, তেজপাতা ও ধনিয়ার দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে আদার দাম কেজি প্রতি ২৮০ টাকা অতিক্রম করেছে। যার মাধ্যমে অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে আদা। আর পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকাই ছুঁয়েছে। 

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের ঈদের পর থেকেই পাইকারি বাজারে বাড়তে শুরু করেছে গরম মসলার দাম। প্রায় প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের আগে কৃত্রিম ভাবে দাম বাড়ায় খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা। তবে এবার ব্যবসায়ীদের হাতে অজুহাত হিসেবে রয়েছে ডলারের দাম। তারা বলছেন, আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে মসলার দাম বেড়েছে।

শনিবার (২০ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ও নাখালপাড়া বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৬০ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর গত বছরের এ সময় জিরার কেজি ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গত সপ্তাহে লবঙ্গের কেজি ছিল ১৪’শ থেকে ১৫’শ টাকা। কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫’শ থেকে ১৬’শ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বছরের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা। গত বছরের এই সময়টাতে বিক্রি হয় ১১‘শ থেকে ১২‘শ টাকা দরে।

গত সপ্তাহে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া ৪৯০’র দারুচিনি এখন ৫২০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া দারুচিনির দাম বেড়ে এখন হয়েছে ৪৯০ থেকে ৫২০ টাকা। অর্থাৎ সাত দিনের ব্যবধানে দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। এক বছর আগে দাম ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়। সাত-আট দিন আগেও দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। এক বছর আগে পণ্যটি কেনা যেত ১২০ থেকে ১৭০ টাকায়।  

আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে মসলার দাম বেড়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, আগে এক ডলারের জন্য আমদানিকারককে পরিশোধ করতে হতো ৮২ থেকে ৮৪ টাকা। এখন করতে হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১২ টাকার পর্যন্ত। এ ছাড়া শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে মোট দামের ওপর। ডলারের দাম বাড়ার কারণে শুল্কও আগের তুলনায় বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও শুল্কের পরিমাণ বেশি আসার কারণে মসলার আমদানি খরচ বেড়েছে। এ কারণে দেশের বাজারে দাম বাড়ছে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: