সাধ ও সাধ্যের ফারাক ঘোচাতে বাজেটে পরিমিত খরচের পথে হাঁটছে সরকার

নির্বাচনের বছর হলেও এবার নতুন কোনো চমক থাকছে না ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে। এ বাজেটের আকার চলতি বছরের চেয়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা বাড়লেও তাতে যুক্ত হচ্ছে না নতুন মেগা-প্রকল্প। বরং সাধ ও সাধ্যের ফারাক ঘোচাতে তেল-গ্যাস আর বিদ্যুতের ভর্তুকি তুলে দেয়া এবং পরিমিত খরচের পথে হাঁটছে সরকার। বিশ্লেষকরাও বলছেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রেখে স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দেয়াই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।
তেল-চিনির পর পেঁয়াজের ঝাঁঝও বাড়ছে দিনকে দিন। দেশি-বিদেশি কোনো পণ্যই সীমিত আয়ের মানুষের নাগালে নেই। অস্বাভাবিক এ দর বৃদ্ধির লাগাম টানাই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।
রীতি অনুযায়ী, মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার এবার পহেলা জুন হওয়ায় সেদিন নতুন বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। ৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য এ বাজেটে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প ও মেট্রোরেলের মতো চলমান মেগাপ্রকল্পসহ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার।
চলতি বাজেটের তুলনায় এবারের বাজেট ১২ শতাংশ বড় হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এখনো সবচে ছোটো বলছেন, বিশ্লেষকরা।
সংকট স্বীকার করে সরকারের মন্ত্রীরা জানিয়েছেন, ভর্তুকি সমন্বয় এবং রিজার্ভের ওপর চাপ ছাড়াও মূল্যস্ফীতির চোখ রাঙানিতে তারা শঙ্কিত। তাই দারিদ্র্য নিরসনে চরম বৈষম্য দূর এবং মূল্যস্ফীতি সাড়ে ছয় শতাংশের মধ্যে ধরে রাখাই আগামীর বড় চ্যালেঞ্জ।
বড় বাজেটের খরচ মেটাতে এবার রাজস্ব আয়ের টার্গেট ধরা হতে পারে ৫ লাখ কোটি টাকা, এর মধ্যে সোয়া ৪ লাখ কোটিই সংগ্রহ করতে হবে এনবিআরকে। অন্যদিকে, খরচ কমাতে রাশ টানা হবে ভর্তুকিতেও।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনো সুফল না পাওয়ায় এবারের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ কমবে। তবে, বাড়বে বয়স্ক, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার মতো বিভিন্ন সুবিধাভোগীর সংখ্যা।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: