বিআইএম ও পাবিপ্রবির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ছবি: সংগৃহীত
রবিবার (১৭ আগস্ট) বিআইএম এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ অংশীদারিত্বকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, উদ্ভাবনের বিকাশে এবং টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে যৌথভাবে একাডেমিক কার্যক্রম, গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাচ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বিআইএম-এর মাননীয় মহাপরিচালক মহোদয়ের পক্ষ হতে পরিচালক প্রশাসন (অ.দা.) প্রকৌশলী মো: তরিকুল ইসলাম এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইএম-এর ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টাবর্গ আর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মো. শামীম আহসান এবং ইনস্টিটিউট অব ইনোভেশন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনরশীপ ডেভেলপমেন্ট-এর প্রধান ড. মো. আমিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইএম এর পরিচালক প্রসাশন (অ.দা.) প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলাম। দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারক দক্ষতা বিনিময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্মারক স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেন বিআইএম-এর ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থপনা উপদেষ্টা এবং বিআইএম-এর পক্ষ হতে এই স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে অন্যতম উদ্যোগী এস. এম. আরিফুল ইসলাম। স্মারকে উভয় প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন সাপেক্ষে স্নাতকোত্তর স্তরে যৌথ একাডেমিক ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা, শিক্ষার্থীদের যৌথ তত্ত্বাবধান ও শিক্ষাদান, প্রশিক্ষণ এবং একাডেমিক উন্নয়নের জন্য অনুষদ সদস্যদের বিনিময়, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিকশিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তির স্থানান্তর এবং বাণিজ্যিকীকরণের জন্য একসাথে কাজ করা, পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে যৌথ গবেষণা প্রকল্প শুরু করা ছাড়াও একাডেমিক ক্রেডিটের পারস্পরিক স্বীকৃতির বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপরোক্ত বিষয়গুলি ছাড়াও, উভয় প্রতিষ্ঠানই নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য উপকারী অন্য যেকোনো একাডেমিক, গবেষণা বা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে জড়িত হতে পারবে। এই বিষয়সমূহ পারস্পরিক পরামর্শ এবং আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নীতি ও প্রবিধান অনুসারে নির্ধারিত হবে।
পাবিপ্রবি উপ উপাচার্য ড, নজরুল ইসলাম যিনি পাবিপ্রবির পক্ষ থেকে স্মারক স্বাক্ষর করছেন তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকের সাথেই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি তবে এক্ষেত্রে আমরা বিআইএম কে বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছি কারণ এই প্রতিষ্ঠান সরাসরি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট। আমরা আমাদের ইনোভেশন কে কাজে লাগাতে চাই তাই আমরা ইনোভেশন ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট চালু করেছি। দেশের জন্য কিছু করার লক্ষ্যেই আমাদের এই নিরন্তর প্রচেষ্টা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ছিলাম তার একটা পদচিহ্ন আমরা রেখে যেতে চাই। এই লক্ষ্যে আমরা মানবিক এবং ব্যবসায় শাখায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদেরও আইটি বিষয়ক শিক্ষার আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করছি। ’
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এই অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং বিআইএম-এর মহাপরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম। পাবিপ্রবি আঞ্চলিক উন্নয়নে হাব হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাবনায় ইতোমধ্যে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, তাঁত শিল্প রয়েছে, পরমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ জনবল তৈরির কারিগর হিসেবে পাবিপ্রবির কাজের সুযোগ রয়েছ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে পাবিপ্রবির উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, ট্রেজারার ড. মো. শামীম আহসান এবং ইনস্টিটিউট অব ইনোভেশন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্ট-এর প্রধান জনাব ড. মো. আমিরুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা বিআইএম-এর মহাপরিচালক জনাব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, পাবিপ্রবি পাবনায় অবস্থিত ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ব্যবসা এবং প্রযুক্তিতে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দক্ষ পেশাদারদের বিকাশ এবং উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, পাবনা, মানসম্মত শিক্ষা এবং ফলিত গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম অফার করে থাকে।
অন্যদিকে বিআইএম ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম, প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং পরামর্শ প্রদান করে এবং এর লক্ষ্য হলো ‘ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং পরামর্শ পরিষেবার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি।’
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: