শহিদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের শ্রদ্ধা নিবেদন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে ‘শহিদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্মম্ভ’ পরিদর্শন শেষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকালে শহিদ আবু সাঈদ চত্বরে (পার্কের মোড়) তাকে অভ্যর্থনা জানান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনডোর ও আউটডোর স্টেডিয়াম এবং যাতায়াত সমস্যার সমাধানে দুটি বাস প্রদানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নিকট প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন দীর্ঘদিনের একটা প্র্যাক্টিসের মাধ্যমে চলে আসছে। এখন প্রতিটা জায়গা থেকে সরকার সেগুলো থেকে বের হয়ে আসতেছে এবং কাজ করতেছে। এরইমধ্যে স্থানীয় সরকার থেকে আমরা আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনে ২৯টি প্রজেক্টের কাজ হাতে নিয়েছি। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের বৈষম্য একদিন বা একরাতেই সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। অবশ্য সদিচ্ছা থাকলে এগুলো আস্তে আস্তে সমাধান হয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের বিষয় ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ও ঐকমত্য পরিষদের যে বৈঠক সেখানে ঐকমত্য থাকলে নির্বাচনের দিকে আরও দৃঢ়ভাবে আগানো যাবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে নাকি জাতীয় নির্বাচন আগে এ রকম প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পূর্বে আপনারা দেখেছেন যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোট চুরি হয়েছে, কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। সে কারণে উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাকে ভেঙে দিতে হয়েছে। সে কারণে সে জায়গাগুলোতে ভ্যাকেন্সি তৈরি হওয়ার কারণে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা একেকজন দুই-তিনটা করে পদের দায়িত্ব পর্যন্ত পালন করছে। সে ক্ষেত্রে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আবার যদি ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা ওয়ার্ড পর্যায়ে তা ভেঙে দেই, সেক্ষেত্রে আমাদের পর্যাপ্ত অফিসার নেই। যার ফলে একটা বড় ধরনের জাতিসংঘর তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। সে জায়গা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়নি। তবে যারা কট্টর আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ছিলেন তারা ৫ আগস্টের পর পালিয়ে গিয়েছে। এগুলোতে প্যানেল চেয়ারম্যান কিংবা প্রশাসকের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা লোকাল ইলেকশনটা আগে করতে চেয়েছিলাম কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হওয়ার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: