হলে পরীক্ষা দিচ্ছেন সন্তান, বাইরে তসবিহ হাতে দোয়া করছেন মা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (২০২৪-২৫) সেশনের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষা ঘিরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। সকাল থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে ভিড় করে থাকছেন তারা।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষা দিচ্ছে, আর বাইরে দাঁড়িয়ে সন্তানের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন অভিভাবকেরা। এমনকি সন্তানের জন্য তসবিহ হাতে দোয়া করতেও দেখা গেছে এক মাকে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিজ্ঞান অনুষদ এবং ৩টায় বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকদের মুখে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা ও প্রত্যাশার গল্প। তারা বৃষ্টিতে ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ তাসবিহ হাতে ও মনে মনে দোয়া দরুদ পাঠ করছে। পরীক্ষার হলের বাইরে দাঁড়িয়ে সন্তানের সফলতার আশায় তারা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
এক মা তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার এটাই প্রথম ধাপ। ভর্তি পরীক্ষা শুধু সন্তানের নয়, অভিভাবকেরও বড় চ্যালেঞ্জ। সন্তানের স্বপ্নপূরণ না হওয়া পর্যন্ত মনটা অস্থির থাকে। পরীক্ষার হলের ভেতরে ছেলে কলম ধরে লিখছে আর বাইরে আমরা প্রতিটি মিনিট গুনছি। শুধু দোয়া করছি ছেলে যেন ভালোভাবে লিখতে পারে।
এক অভিভাবক বলেন, আমার সন্তান ছোটবেলা থেকে যেভাবে পরিশ্রম করেছে। আজ তারই ফলাফলের দিন। দোয়া করছি সে যেন ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়ে বের হয়। আমাদের সারা জীবনের আশা-ভরসা সন্তানের উপর। সে যেন স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়, সেটাই চাই।
এছাড়াও আরেকজন অভিভাবক জানান, ভর্তি পরীক্ষা মানেই সন্তানের জীবনের বড় পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষা শুধু সন্তানের নয়, অভিভাবকেরও বড় চ্যালেঞ্জ। সন্তানের স্বপ্নপূরণ না হওয়া পর্যন্ত মনটা অস্থির থাকে। বাইরে বসে থেকে আমরা দুশ্চিন্তায় থাকি। কিন্তু মনে সাহস রাখছি যে সে পারবে।
উল্লেখ্য, সাতটি কলেজ হলো, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাংলা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: