• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

জবিতে ‘সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা’ শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ৬ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৩:৫৬, ৬ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
জবিতে ‘সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা’ শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিক শিক্ষায় ‘সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা’ শিক্ষক পদ বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ ও পুনর্বহালের দাবিতে সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে সংগীত বিভাগ। পরে র‍্যালিটি গান গেয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুর বাজুক। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব পদ বাদ দিয়ে কালচারাল ফ্যাসিজম কায়েম করা হচ্ছে। আমরা শিশুদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে দিতে চাই না। যতক্ষণ পর্যন্ত পুনর্বহাল না হবে, আমাদের দাবি ও আন্দোলন চলমান থাকবে।

সংগীত বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত চৌধুরী জাফরিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আন্দোলনে আমরা সংগীত বিভাগ সুর ও গান গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা আমাদের কণ্ঠ জারি রেখেছি।

জবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা’ শিক্ষক পদ বন্ধ করা হচ্ছে- এটা হাস্যকর ব্যাপার। আমাদের যে এমন একটি বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হবে, তা কল্পনাতেও ছিলো না। বর্তমান সরকার ও সমাজ বাজারকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে; এখানে মনন বিকাশে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুর রশীদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, সামগ্রিক শিক্ষা ছাড়া কোনো শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না। সুস্থ মন যেমন দরকার, তেমনি সুস্থ শরীরও দরকার। সুস্থ মনের জন্য সংগীত এবং সুস্থ শরীরের জন্য শারীরিক শিক্ষা প্রয়োজন। আজ তুরস্ক, সিরিয়ায় দারুণ মিউজিক হচ্ছে। উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তিনি সংগীতের মধ্যে ইশ্বরকে খুঁজতেন।

সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অণিমা রায় গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকের শিশুদের সুর থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা তাদের হয়ে এখানে আজ দাঁড়িয়েছি। তাদের শিক্ষক নিয়োগ না করার অর্থ তাদের অধিকার বঞ্চিত করা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল সংস্কৃতির জন্য, ধর্মের জন্য নয়। ছোট্ট শিশুদের কাছ থেকে সুর কেড়ে নেওয়ার সুদূরপ্রসারী পাঁয়তারা করা হচ্ছে।

 

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন: