• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শান্তি চুক্তির ৩ সপ্তাহর মাথায় ফের ঢাকা-আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

মো. ওবায়দুল্লাহ, ঢাকা কলেজ 

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৭:১৩, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
শান্তি চুক্তির ৩ সপ্তাহর মাথায় ফের ঢাকা-আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শান্তি চুক্তির ৩ সপ্তাহের মাথায় ফের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, ঢাকা - আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী একই বাসে করে গন্তব্য স্থানে যাচ্ছিলো। যাওয়ার সময় বাসের ভিতরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি হাতাহাতি'তে রূপ নেয়। পরবর্তীতে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিতে আসলে ঢাকা কলেজ সংলগ্ন উত্তরা ব্যাংকের সামনে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।  পরক্ষনেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় এবং সবাইকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আইডিয়াল কলেজে শিক্ষার্থী বাধন মাহবুব বলেন, আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ ছুটির পর সাইন্সল্যাব এরিয়া দিয়ে যাচ্ছিলো, তখনই তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। যা খুবই নেক্কারজনক। এধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে থাকে আমাদের সাথে। এই বছর ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হওয়া কনসার্টে আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হলে শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে তাদের সাথে কিছু একটা বিষয় নিয়ে মারামারি হয়। তারই পরিপেক্ষিতে, ডিসিয়ান মিমস এবং ডিসিয়ান ফিক্সের এডমিনদের উসকানিতে আজকের এই ঘটনাটি ঘটে। 

এই বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত কমিটি সদস্য ওসি মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, ঢাকা - আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা একসাথে একই বাসে করে তাদের নিজস্ব গন্তব্যে যাচ্ছিল। পরক্ষণেই, ঢাকা কলেজের একটি শিক্ষার্থীর সাথে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তখন আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে সক্ষম হই এবং সবাইকে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেই। এখন শান্তি চুক্তির মাধ্যমে গঠিত নয় সদস্যের কমিটির সহায়তায় বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা চলছে।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম. ইলিয়াস বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমরা সবাই তৎপর আছি। মারামারি সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে বিশেষ করে যে মার খেয়েছে তার প্রতি আমাদের সমবেদনা এবং তার সম্পূর্ণ চিকিৎসার খরচ আমাদের। আর বাকিদের কঠোর শাসনব্যবস্থা মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। আজকের এই ঘটনা হয়তো বা কনসার্টে ঘটে যাওয়া ঘটনাকেই কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে। তবে, সব পক্ষই যদি সংযত থাকে তাহলে এধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব। 

তিনি আরও বলেন, গঠিত শান্তি চুক্তির নিয়ম শৃঙ্খলা আমাদের কলেজের কোনো শিক্ষার্থী যদি ভঙ্গ করে তখন তাকে আমরা সংযত হওয়ার জন্য সময় দেই। তা না হলে ওই শিক্ষার্থীর গার্জিয়ানকে ডাকা হয়। এরপরও যদি তার মধ্যে কোনো প্রকার পরিবর্তন না হয় তখন তাকে বহিষ্কার করি, যেমনটি গত কয়েকদিন আগে আপনারা দেখেছেন।

উল্লেখ, সংঘর্ষ এড়াতে নভেম্বরের ৯ তারিখে পুলিশ ও কলেজ দু'টির কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে তাদের মধ্যে মৌখিক 'শান্তি চুক্তি' হয়। সেখানে তারা ফুল ও মিষ্টি দিয়ে একে অপরকে বন্ধু হিসেবে গ্ৰহণ করে নেয়। আর কখনো কোন প্রকার সংঘর্ষে জড়াবে না, এ  প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন উভয় কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: