দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে গেলো নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী বহনকারী ২ বাস
নোয়াখালীর সোনাপুরে গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের আগুনে বিআরটিসি ডিপোতে থাকা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী পরিবহনকারী দুটি বাস সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে এ নাশকতার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে হঠাৎ ডিপোর ভেতর থেকে আগুনের শিখা উঁচু হতে দেখে তারা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পাওয়ার মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই মাইজদী ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বাসগুলোর বডিতে থাকা ফোমের কারণে আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এবং ‘গুলবাহার’ ও ‘মালতি’ নামের নোবিপ্রবি পরিবহনকারী দুটি বাস সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। আরেকটি বাস আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোনাপুর বিআরটিসি ডিপোর ম্যানেজার মো. আরিফুর রহমান তুষার বলেন, খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশও সঙ্গে সঙ্গে এসে কাজ শুরু করে। পুরো ঘটনাটিই স্পষ্ট নাশকতা। আজই আমার বদলি হওয়ার কথা ছিল, সব প্রস্তুতিও শেষ। কিন্তু, যাকে এখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি আসতে অনাগ্রহী। আমার ধারণা, বদলি ঠেকাতেই পরিকল্পিতভাবে এই অপকর্ম করা হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত প্রফেশনালভাবে ঘটানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখানকার সহকর্মীরা অত্যন্ত ভালো। আজ আমাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল তাদের। এলাকাবাসীও সবসময় আমাদের সহযোগিতা করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ও কোনো সমস্যা হয়নি। তাই, এটি সাধারণ মানুষের কাজ নয়, পরিকল্পিত নাশকতা।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, রাত ২টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং ১০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। দুটি বাস সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, অপরটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। তদন্ত ছাড়া আগুনের কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
নোবিপ্রবি পরিবহন প্রশাসক ড. কাওসার হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। বাসগুলো যেহেতু আমাদের শিক্ষার্থীদের পরিবহনে নিয়োজিত ছিলো, আমরা বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি যাতে বাস সংকট সৃষ্টি না হয় এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে কোন ভোগান্তির সৃষ্টি না হয়।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: