• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

শ্রীহীন কঙ্কালের মতো ১০ বছর দাঁড়িয়ে বেরোবি’র মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের স্মারক

রংপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২৬ মার্চ ২০২২

আপডেট: ০৯:২২, ২৬ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
শ্রীহীন কঙ্কালের মতো ১০ বছর দাঁড়িয়ে বেরোবি’র মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের স্মারক

অযত্ন অবহেলায় কালো শ্যাওলায় ভরে শ্রীহিন কঙ্কাল সারের মত দাড়িয়ে আছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য। এই স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণ কাজ এক যুগেও শেষ হয়নি। এতে ক্ষুব্দ সাধারন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা। তবে নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মু. আব্দুল জলিল মিয়ার আমলে জনতা ব্যাংকের অনুদানে স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী ভাস্কর্যটির মূল ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু কিছু দিন পর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ পুনরায় এর নির্মাণ কাজ শুরু করলে আবারো কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. হসিবুর রশীদ আমলে এখনো নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে প্রথমেই চোখে পড়ে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা স্মারক। এটির গায়ে অযত্নে কালো শ্যাওলার দাগও পড়েছে। যদি পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মাণ করা হতো তাহলে এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বেড়েযেত।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, নির্মাণ শুরুর দীর্ঘ সময়েও মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নির্মাণ সম্পন্ন করতে না পারাটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী কমলেশ চন্দ্র সরকার জানন, স্বাধীনতা স্মারক নির্মাণ কাজ শুরুর পর নানান জটিলতায় নির্মাণ কাজ বার বার বন্ধ হয়ে যায়। সব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুতস্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এখনো স্বাধীনতা স্মারক নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এটি অনেক আগেই নির্মাণ করার দরকার ছিল।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী  অধ্যাপপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, স্বাধীনতা স্মারক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য। এটি সঠিক সময়ে নির্মিত হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও শিক্ষার ধারণা দিত। এটি চোখে পড়লেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা মনে হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ প্রায় এক যুগেও মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নির্মাণ করতে নাপারাটা দুঃখের বিষয়। নতুন ভিসি মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য দ্রুত নির্মাণ করবেন বলে আশা করেন তিনি।

বিভি/জেএ/এইচএস

মন্তব্য করুন: