প্রেমিকার সঙ্গে মেসেঞ্জারে চ্যাটিং, জবি শিক্ষার্থীকে পেটালো প্রেমিক

প্রেমিকার সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথা বলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুনকে পিটিয়েছে প্রেমিক ডেভিড ও তার সহযোগিরা। এই ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওশের বিন আলম ডেভিড, একই শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের জাহিদুল ইসলাম হাসান ও পরিসংখ্যান বিভাগের অর্পন সাহা শান্তসহ আরো ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পুলিশের এসআই নাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন। নথিপত্র আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদের পেলেই গ্রেফতার করা হবে।
মামলার এজহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন গত ৩ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্লাস শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে আসলে এক নাম্বার আসামি নওশের বিন আলম ডেভিড জরুরী প্রয়োজনের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইটের সামনে তাকে নিয়ে যায়। পরে সেখানে ডেভিড, জাহিদুল ইসলাম হাসানসহ আরো ৪/৫ জন মিলে ডেভিডের প্রেমিকার সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথা বলাকে কেন্দ্র করে অতর্কিতভাবে মুনের উপর হামলা করে।
পরে ওইদিন দুপুর ১টায় মুন তার বন্ধুদের নিয়ে কোতয়ালী থানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে আসামি ডেভিড, জাহিদুল ইসলাম ও অর্পন সাহা শান্তসহ ১৫/২০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে পুনরায় মুনসহ তার বন্ধুদের উপর হামলা করে। এছাড়া ওই দিনই রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে আবারও মেহেদী হাসান মুনের উপর অর্পন সাহা শান্তসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন মিলে ধারালো চাকু ও হাতুড়ি দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে মুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা দু’পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভি/এসি/এইচএস
মন্তব্য করুন: