• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিতে গিয়ে হট্টগোল করল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৮:০০, ২৬ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৮:০৫, ২৬ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিতে গিয়ে হট্টগোল করল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ নিয়ে হট্টগোলে জড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। রবিবার (২৬ মার্চ) ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সামনেই এ হট্টগোলে জড়ান ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। 

এসময় ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বলেন, আমি চাই না ছাত্রলীগের কারণে স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠান পণ্ড হোক। তোমরা যে ঝামেলা করবা তাকেই আমি বহিষ্কার করে দিবো।

জানা যায়, স্বাধীনতা দিবসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রশাসনিক ভবনস্থ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। এসময় শাখা ছাত্রলীগের ক্যাম্পাস গ্রুপের সদস্যরা ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়ার পর হলের পক্ষ থেকে ফুল দিতে গেলে ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থানরত ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে ফুল দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে উভয় গ্রুপ বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এরপর একপক্ষ আরেকপক্ষের দিকে তেড়ে আসলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। 

পরে দুইপক্ষ অবস্থান নেয়ার পরে বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যের সামনে এক পক্ষের নেতা কাজী নজরুল ইসলাম হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুল হক শিপন হল সভাপতি পলাশকে উদ্ধৃতি করে উচ্চবাচ্য করেন। পরে হল সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ বাহিরের গ্রুপকে 'হাত পা কেটে ফেলবো' 'ভেঙে ফেলবো' সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাম্পাস গ্রুপের পক্ষে  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাত মো. সায়েম বলেন, "আমরা ফুল দেওয়া অবস্থায় তারা আমাদের বলতেছে আমরা নামি না কেন। তারা তো আমাদের এভাবে বলতে পারে না"

ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থানরত গ্রুপের নেতা ও সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস বলেন, তারা (ক্যাম্পাস গ্রুপ) আমাদের বলতেছে তারা ফুল দিয়েছে। আমরা ফুল দিবো কেন! এই বলে তারা হট্টগোল তৈরী করে। পরে আমরা তাদের জায়গা দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।"

স্বাধীনতা দিবসে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে, সহকারী প্রক্টর কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, আজকে যা হয়েছে তা খুবই সাধারণ বিষয়। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: