ঈদে মোশাররফ করিমের “ঝুঁকির মধ্যে আছি”

কবি বলেছেন, জীবন এতো ছোট কেন? শফিকের কাছে জীবন ছোট হোক তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু তার কথা হল জীবনে এতো ঝুঁকি ক্যানো? তিনি ভালো চাকুরী করেন, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। তার জীবন দর্শন হলো ঝুট-ঝামেলাহীন নিরাপদ ভাবে জীবনটা পার করে দেয়া।
এক কথায় বাংলা সিনেমার সেই গানের মতো ‘হেসে খেলে জীবনটা যায় চলে যাক’। কিন্তু বিপত্তিটা বাঁধে তখনই যখন স্ত্রীর নিষেধ সত্ত্বেও প্রতিদিন অফিস যাবার মুহুর্তে অভ্যাসবশতঃ পাড়ার মোড়ে বসা পত্রিকার দোকানে দাঁড়িয়ে পত্রিকা পড়েন। বিভিন্ন দূর্ঘটনার খবরে তার মনে শংকার উঁকি দিলে তিনি ভাবেন এই বুঝি তিনিও ঝুঁকির মধ্য পড়লেন।
এই যেমন- মায়ের হাতে সন্তান খুন এই খবরে তিনি বেশ বিচলিত হন। কারণ ইদানিং তার স্ত্রীকে বলতে শুনেছেন ‘তোদের মেরে আমি নিজে মরবো’। ব্যাস! আর দেরী না করেই তিনি তার পুত্রদ্বয়কে এক বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ দেন। ঘটনাচক্রে পুত্রদ্বয় সেই কৌশল তাদের মায়ের উপরে প্রয়োগ করে, মানে মাথায় বাড়ি মারে। সেকি কেলেংকারী! ব্যাপারটা থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। যাই হোক শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর কৃপায় এ যাত্রায় রক্ষা পান তিনি ।
তিনি জীবনে আবারো এক মহা সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন, যখন তার স্ত্রী জানালো এবারের ঈদটা তারা সবাই মিলে তার ছোট বোনের বাড়ী সিরাজগঞ্জে করবেন। তিনি বললেন, অসম্ভব! কারণ ওটা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা। অতঃপর মনোমালিন্য ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে শফিক একশর্তে রাজী হলো, তা হল দুই বাসে দু’জন দুই সন্তানকে আলাদা আলাদা নিয়ে যাবেন।
সবকিছু ঠিকঠাক। রাত দশটায় বাস। লাগেজ গুছিয়ে সন্তানদের নিয়ে তৈরি। ঠিক তখনই আর শফিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর কী হবে? জানা যাবে নাটকের শেষে।
সমাজের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এ নাটটির কথা লেখেছেন জুয়েল এলিন, পরিচালনা করেছেন শামস করিম। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, সালহা খানম নাদিয়া সহ আরো অনেকে। নাটকটি ঈদের চতুর্থ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় রাত ০৯টা ২৫ মিনিটে প্রচারিত হবে।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: