• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নতুন বাজেট নিয়ে যা বললেন শিল্পীরা

প্রকাশিত: ১৫:২০, ১১ জুন ২০২২

আপডেট: ১৮:৪৮, ১১ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
নতুন বাজেট নিয়ে যা বললেন শিল্পীরা

প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) এই বাজেট পেশ করা হয়। এই বাজেট নিয়ে কী প্রত্যাশা করছেন শোবিজ জগতের তারকারা? এই নিয়ে বেশ কয়েকজন অভিনয় শিল্পীর সঙ্গে কথা হয় বাংলাভিশনের। তারা জানান তাদের প্রত্যাশার কথা।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অসাধারণ সুন্দরী প্রতিভাবান অভিনেত্রী ববিতা বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে যতটা বাজেট হয়েছে সেটাকে সঠিভাবে কাজে লাগাতে হবে। সরকার বাজেট দিলো আর সেটা কাজে এলো না তখন তো সেটা মানুষের উপকারে আসবে না। আমাদের দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা দিন দিন কমেই যাচ্ছে। হল না বাড়লে, বাড়বে না সিনেমার সংখ্যা। তাই সরকারকে সিনেমা হলের পরিমাণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। আবার পরিচালকদের সিনেমা বানিয়ে শুধু পুরষ্কার পেলে হবে না, পাশাপাশি সিনেমাকে ব্যবসা সফল করে তোলার চেষ্টা করতে হবে।’

চলচ্চিত্রের আরেক দাপুটে অভিনেত্রী গুলশান আরা আক্তার চম্পা। তিনি বাজেট নিয়ে বলেন, ‘শুধু শিল্পী না, আমি চাই দেশের সকল মানুষ ভালোভাবে জীবনযাপন করুক। করোনায় দেশের মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছেন। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয় কমে গিয়েছে। তাই বাজেটকে এমনভাবে কার্যকর করতে হবে যাতে এসব মানুষে স্বচ্ছলতা ফিরে আসে।’

প্রবীণ অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় মত প্রকাশ করেন, শিক্ষা-সংস্কৃতি খাতে বাজেট অনেক কম। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা হচ্ছে একটি জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে। তাই এই খাতে কম ব্যয় হওয়া জাতির জন্য আসলে ক্ষতি। কৃষি, যোগাযোগ, অবকাঠামো খাতে যেমন বড় বাজেটের দরকার তেমনি শিক্ষা-সংস্কৃতি খাতেও বড় বাজেট প্রয়োজন। আধুনিক সমাজ গড়তে হলে শিক্ষা-সংস্কৃতির কোনো বিকল্প নেই।’

দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণ করা দরকার। হল মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দিলে এই শিল্পে আরও প্রসার আসবে বলে মনে করেন তিনি।

চিত্রনায়ক রিয়াজ বাজেট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট সময়োপযোগী ও জনকল্যাণমুখী হয়েছে। আমি শুধু একটাই আশা করি, এই বাজেট যেন সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং দেশের মানুষ খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে।

বড় পর্দার আরেক নায়ক বাপ্পী চৌধুরী বলেন, ‘বাজেট যেন শিল্পীদের কথা মাথায় রেখে বাস্তবায়ন করা হয়। আমাদের দেশের চলচ্চিত্র শিল্পী-কলাকুশলীদের ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তাই তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে সেটা অনেক ফলপ্রসূ হতে পারে। সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তা না হলে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন হবে না।’

অভিনেতা গাজী রাকায়েত বলেন, ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি ছাড়া তো কোনো জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। এই খাতে আরও বেশি জোর দেওয়া দরকার। আমাদের দেশের মেধাবীরা একটা সময় বিদেশে চলে যায়। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একসময় মেধাশূণ্য হয়ে যাবে। তাই তাদের ভালো সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দেশে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের পাঠ্যক্রমে সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে যুক্ত করতে হবে। স্কুল,কলেজের ছেলে-মেয়েদের থিয়েটার, নাটক, সিনেমা সম্পর্কে ধারনা দিতে হবে। তবেই তো আমাদের দেশে এই শিল্পের বিকাশ ঘটবে।’

বিভি/জোহা

মন্তব্য করুন: