ছেলের সিনেমা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রাজের মা

মায়ের সঙ্গে শরিফুল রাজ। ছবি: বাংলাভিশন
ঈদুল আযহায় মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘পরাণ’ সাড়া ফেলেছে দেশজুড়ে। সব শ্রেণির দর্শকের কাছে পরাণ যেন এক আবেদনের নাম। সেই আবেদনে নাম লেখালেন পরাণের নায়ক শরিফুল রাজের মা নিজেও। হলে বসে দেখলেন ছেলের অভিনীত পরাণ সিনেমা। এমনকি সিনেমার এক পর্যায়ে কেঁদে দিয়েছেন ছেলের অভিনয় দেখে।
সোমবার (১ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীস্থ স্টার সিনেপ্লেক্সে পরাণ সিনেমা দেখাতে মাকে নিয়ে আসেন শরিফুল রাজ। এসময় সেখানে ছিলেন সিনেমার নির্মাতা পরিচালক রায়হান রাফীও মা-বাবাও। সিনেমা দেখার পর নিজের অনুভূতিও জানিয়েছেন রাজের মা। কথা বলেছেন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। বাংলাভিশনকে তিনি বলেন, আমার বড্ড আদরের সন্তান রাজ। সেই ছোট্ট রাজ যে আজ এতো বড় অভিনেতা হবে আমি বুঝতেই পারিনি ‘
সিনেমা দেখে বেরিয়ে এসে অনুভূতি জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন রাজের মা। কথার এক পর্যায়ে রাজের শৈশব নিয়েও কথা বলেন তার মা। তিনি বলেন, ছোটবেলায় কত নিষেধ করেছি। তখন যদি জানতাম ও একদিন এতো বড় মাপের শিল্পী হবে তাহলে কখনোই নিষেধ করতাম না। দোয়া করি ও যেন আরও বড় হয়। অনেক উঁচুতে ওঠে।’ মাকে আনলেও আজ আর স্ত্রী পরীমণিকে আনেননি রাজ।
৮ নভেম্বর ১৯৯১ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা থানার আলমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শরিফুল রাজ। চলচ্চিত্রাঙ্গনে আসার আগে শরিফুল রাজ ২০১২ সালে র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। এছাড়া, বিজ্ঞাপনেও কাজ করেন তিনি। ২০১৬ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত আইসক্রিম সিনেমা দিয়ে শরিফুল রাজের চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিষেক ঘটে। ২০১৯ সালে শরিফুল রাজ অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ন ডরাই মুক্তি পায়।
আর পরাণ ছাড়াও দুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে রাজের ‘হাওয়া’ সিনেমা। ২০২১ সালে ১৭ অক্টোবর তিনি পরীমনিকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি পরীমনি নিজের গর্ভাবস্থার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে জানানোর আগ পর্যন্ত তারা বিবাহের খবর গোপন রাখেন। পরে ২২ জানুয়ারি তারা পুনরায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: