থানায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিড়াল আটক!

আটক বিড়াল।
শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা সত্যিই ঘটেছে। হারিয়ে যাওয়া বিড়াল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। পরে ওই বিড়ালটি একাধিক পুলিশ সদস্য কামড় দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাকে আটকও করেছে পুলিশ। ভাইরাল হওয়া এই ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের এক পুলিশ স্টেশনে।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং ব্যাপক হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। ওই পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা দা পারিন্দা পাকিসুক গ্রেফতার হওয়া বিড়ালের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
পাকিসুক জানান, আমেরিকান শর্টহেয়ার জাতের বিড়ালটি কেউ থানায় নিয়ে আসে এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়ে যত্ন নেওয়া শুরু করেন।
কিন্তু কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বদলে ওই বিড়ালটি একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে আঁচড় ও কামড়াতে শুরু করে। থাই সংবাদমাধ্যম খাওচদ ইংলিশ জানায়, বিড়ালটির নাম নুব টাং; যার অর্থ ‘টাকা গোনা’।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পাকিসুক লেখেন, ‘এই বিড়ালের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। পোস্টটি শেয়ার করুন যেন তার মালিক এসে তাকে জামিনে নিতে পারেন।’ পোস্টে তার গাড়িতে শুয়ে থাকা অবস্থায় তোলা বিড়ালটি একটি ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, তিনি বিড়ালের জন্য খাবার ও খেলনার মাধ্যমে একটি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। পরে তিনি আরেকটি ছবি শেয়ার করেন, যেখানে পুলিশকে বিড়ালটির পায়ের ছাপের রেকর্ড করতে দেখা যায়। এটি ছিল মূলত একটি ‘নকল গ্রেফতার’র অংশ। অফিসার মজা করে লেখেন, ‘সে তার জীবনটা দারুণভাবে উপভোগ করছে, আর আসল ভিকটিম হচ্ছে পুলিশ।’
পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই বিড়ালটিকে দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে পুলিশ জানায়, তারা প্রথমে তার আসল মালিককে খুঁজে পেতে আগ্রহী।
পরদিন বিড়ালটির মালিক থানায় এসে উপস্থিত হন। ঘটনা যেন এক মজার পরিণতি পায় সেই উদ্দেশ্যে মি. পাকিসুক বিড়ালটির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটি কল্পিত পুলিশ রিপোর্ট লেখেন- ‘আমি শুধু ক্ষুধার্ত ছিলাম। কাউকে কামড়ানো আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’
এরপর তিনি বিড়ালটিকে তার মালিকের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি একটি মজা করে ফেসবুকে লেখেন, ‘এই মামলাটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। অন্য বিড়ালদের ভাবতে দেওয়া যাবে না যে, মানুষকে কামড়ানো কোনো গ্রহণযোগ্য আচরণ।’
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: